
‘ডাঃ মুনসুর আহমেদ হাওলাদার, এক সাহস্য জীবনযোদ্ধার নাম’ শিরোনামের এ বইটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার দক্ষিণ বেতকাটা গ্রামের ডাঃ মুনসুর আহমেদের বর্ণাঢ্য জীবনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানেও যে এমন বিশাল আয়োজন হতে পারে সেটিও নজিরবিহীন ইতিহাস রচনা করলো।

মরহুম ডাঃ মুনসুর আহমেদ প্রতিষ্ঠিত রামপালের দক্ষিণ বেতকাটার ‘ডাক্তার বাড়ি’তেই ঈদের পরের দিন(১এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয় বইটির মোড়ক উম্মোচনী অনুষ্ঠান। বইটির লেখক ও সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন, ডাঃ মুনসুর আহমেদ হাওলাদারের বড়পুত্রবধূ মাজেদা বেগম ও বেঁচে থাকা একমাত্র মেয়ে জয়নব বেগম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, মরহুম ডাঃ মুনসুর আহমেদ হাওলাদারের নাতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বইয়ের লেখক মোঃ মাহবুবুর রহমানের পুত্র, লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি অধ্যায়ণরত ব্যারিষ্টার মনজুর রাব্বি তনয়, ফাইবার অ্যাড. হোমের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা(সিএইচআরও) মোঃ মাসুদ রাব্বি, লেখকের ভাই অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মোঃ লুৎফর রহমান, শিক্ষক আব্দুস সালাম, আবুল কালাম, বনবিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন, কলেজ শিক্ষক মোঃ আল মামুন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সাবেক নির্বাহী সদস্য এইচ এম আলাউদ্দিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের কোষাধ্যক্ষ মোঃ আজিজুর রমান মশিউর, মোড়েলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ নাসির ফকির, কামরুজ্জামান সোহেল, শামসুজ্জামান সজিব, তৌহিদুল ইসলাম আকমলসহ পরিবারের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ এবং আত্মীয়-স্বজন।
উল্লেখ্য, প্রকাশিত বইটিতে মরহুম ডাঃ মুনসুর আহমেদের পারিবারিক জীবনের পাশাপাশি কয়েক প্রজন্মের ইতিহাস তুলে ধরা হয়। যার অধিকাংশই লেখকের অনুপ্রেরণায় তাঁর পিতা মৃত্যুর আগে ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করে গেছেন। ২০০৪ সালের ৪ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হলে ডায়রী সংগ্রহ করে বই আকারে প্রকাশ করা হয়। বইটি ঢাকার নোলক প্রকাশনী প্রকাশ করেছে। প্রকাশক এম নন্দিনী খান।