সর্বশেষ :
বাগেরহাটে প্রথম মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেন জামায়াতের প্রার্থী রাহাদ।। মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবসে   জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন মরক্কোতে বৃষ্টিপাতের ফলে আকস্মিক বন্যায় ৩৭ জনের মৃত্যু গুয়াতেমালার আদিবাসী অঞ্চলে সংঘর্ষে নিহত ১৩ বলসোনারোর সাজা কমানো বিলের বিরুদ্ধে ব্রাজিলে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ থাইল্যান্ডে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ বায়ুদূষণের জেরে দিল্লিতে নির্মাণকাজে নিষেধাজ্ঞা, ক্লাস হবে অনলাইনে সিডনি সৈকতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ মার্কিন প্রেসিডেন্টের নতুন বিমান ডেলিভারি পিছিয়ে গেছে কাম্বোডিয়া সীমান্তে গোলাবর্ষণ, থাই গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৩ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

পাইকগাছায় অনাবৃস্টি আর তীব্র তাপদাহে  আমের গুটি ঝরে পড়ছে; দুশ্চিন্তায় চাষীরা

প্রতিনিধি: / ১৫৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৫

ইমদাদুল হক, পাইকগাছা ( খুলনা): টানা তীব্র তাপদাহ আর খরায় খুলনার পাইকগাছায় আমের গুটি ব্যাপক হারে ঝরে পড়ছে। এমন অবস্থায় ফলন বিপর্যয়ের পাশাপাশি আম নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ অঞ্চলের আমচাষিরা। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আম গাছে প্রচুর মুকুল ধরেছিলো ও আমের গুটি ধরেছে। তারপর  টানা তীব্র তাপদাহ ও বৃষ্টির অভাবে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আমের গুটি।
চৈত্র মাসের মাঝামাঝি থেকে প্রচণ্ড তাপদাহ শুরু হয়েছে। তীব্র খরায় যেন পুড়ছে দেশ। খুলনার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। দেখা নেই বৃষ্টির। উপকূলে লবন হাওয়ায় তাপমাত্রা আরও বেশী অনুভূত হচ্ছে। তবে বৃষ্টির অভাবে গুটি ঝরে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আম চাষি ও বাগান মালিকরা। উপজেলায় ৫৮৫ হেক্টর আম বাগান রয়েছে। লবনাক্ত উপকূল এলাকার এ উপজেলা ৪টি গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়ুলী  ইউনিয়ানে আম বাগানে রয়েছে। উপজেলার গদাইপুর, গোপালপুর, হিতামপুর, মালত, হরিঢালী, কপিলমুনি, সলুয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে উন্নত জাতের  আমগাছ রয়েছে।
এ বছর প্রচুর পরিমাণ আমের গুটি আসায় আমচাষি ও বাগান মালিকরা বুক বেঁধেছে লাভের আশায়। কিন্তু বর্তমানে অনাবৃষ্টি ও দাবদাহে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে স্বপ্নের সেই আমের গুটি। যদিও কেউ কেউ রাত ও খুব ভোরে গাছের গোড়ায় সেচ ও স্প্রে করে চেষ্টা করছেন আমের গুটিকে বাঁচানোর। কিন্তু অধিকাংশ চাষি পুঁজি এবং পানির অভাবে সেচ দিতে পারছেন না। তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে বৃষ্টির অপেক্ষায়। বাগানের দক্ষিণের গাছগুলোর গুটি ঝরেছে। কারণ, দক্ষিণের দিকে সূর্যের তাপ বেশি লাগে। আর উত্তরের গাছগুলোতে সূর্যের তাপ কিছুটা লাগলেও ছায়া থাকে বেশি।
সরজমিনে দেখা যায়, এলাকার আমগাছের নিচে দেখা যায় অসংখ্য ছোট, মাঝারি ও বড় আমের গুটি ঝরে পড়ে রয়েছে। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আমবাগান মালিক আবুল কালাম বলেন, আমার আমের বাগানে খরার কারণে আমের গুটি ঝরে পড়ছে। তারপর বৃষ্টির দেখা নেই। দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। বাগানের গাছে তিন ভাগের এক ভাগ আম ঝরে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় আম নিয়ে বেকায়দায় রয়েছি। গদাইপুর গ্রামের আমচাষি মোবারক ঢালী বলেন, তীব্র খরার কারণে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। আমগাছে সেচ ও কীটনাশকের মিশ্রণ ম্প্রে করেও গুটি টেকানো যাচ্ছে না। এ সময় বৃষ্টি না হওয়ায় আম নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।
উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবীদ একরামুল হোসেন বলেন, খরার জন্য আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। তাপমাত্রা বাড়ার পরেও আমের গুটি যেটুকু ঝরছে সেটা স্বাভাবিক। কৃষক বা চাষিদের হতাশার কিছু নেই। গুটি বেশি ঝরছে মনে হলে সেচ দিতে হবে।  তিনি আমচাষিদের গাছের গোড়ায় পানি দেওয়াসহ ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করার জন্য পরামর্শ দেন। এ সময় আম রক্ষার্থে বাগান মালিক ও চাষিদের গাছের গোড়া মাটি দিয়ে গোল করে বেধে বেশি করে পানি দিলে আমের গুটি কম ঝরবে।


এই বিভাগের আরো খবর