বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটে সাতক্ষীরা জেলায় কর্মরত অতিরিক্ত জেলা জজ আবুবকর সিদ্দিকর
বিচার চেয়ে মায়ের সংবাদ সম্মেলন।
শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে বিচারক
ছেলের বিরুদ্ধে লিখিতো অভিযোগ পাঠ করেন অসহায় মা মোসাঃ রাহিলা বেগম।
লিখিত অভিযোগ বলেন, বিচারক ছেলের মা হয়ে কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে, সহ্য
করার একটা সিমা রয়েছে।
আমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষিকা আমার
আমার দুইটি সন্তান একজন গুলশান আরা বেগম আর একজন সাতক্ষীরা জেলা অতিরি
জেলা জজ আবুবকর সিদ্দিক । আমার স্বামী গত ৮ মাস পূর্বে বার্ধক্য জনিত
কারণে মৃত্যু বরণ করেন। আমার ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক কয়েক বছর ধরে আমার
কোন খোঁজ খবর রাখে না।আমার স্বামীর সকল সম্পত্তি সে ও তার সৎ বোন সালমা
পারভীন অবৈধ ভাবে আত্মসাৎ করেছে। ওই মৌজার দুই বিঘা জমি রয়েছে যার এক
বিঘা আমার নিজ নামে ও এক বিঘা আমার স্বামীর নামে। আমার স্বামীর ওই এক
বিঘা জমি তার কন্যা গুলশান আরা বেগম কে মৌখিকভাবে দান করেছে। আর আমার
নামে থাকা এক বিঘা জমি আমি গুলশানরাকে হেবা দলিল মূলে দিয়েছি। কিন্তু
আমার ছেলে বিচারক আবুবকর সিদ্দিকর দলিল চুরি করে যে কোন উপায়ে ওই জমি
তার নিজ নামে দলিল করিয়ে নেয়। আমার ছেলে একজন বিচারক হয়ে সে কিভাবে ভিপি
সম্পতি তার নিজের ও একজন সহকারী শিক্ষিকার নামে দলিল করে নিল। ওই জমি
নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। গত ৬-৭ বছর পূর্বে ওই জমিতে আমার মেয়ে
পাচতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করে। আমার ছেলে বিচারক
আবুবকর সিদ্দিকের নির্দেশে স্থানীয় আওয়ামী কর্মী কারিমা বেগম, খানপুর
ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রতন,
সহ-সভাপতি খানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আলী শেখ, ওমা পারভীন, ইকবাল
হাওলাদার, আল মামুন সহ ৫০ থেকে ৬০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা নির্মানাধীন
ভবনের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এরা আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় তাদের
বিরুদ্ধে কোথাও অভিযোগ দিতে পারি নাই।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, গত সাত আট বছর পূর্বে আমাকে ভুল বুঝিয়ে আমার
পেনশন থেকে পাওয়া বিশ লক্ষ টাকা নিয়ে আমাকে সর্বসন্ত করে দেয়ে। সব বিষয়ে
প্রতিবাদ করলে আমাকে মারপিট করে ও বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে।
পক্ষে কেউ কথা বললে বিভিন্ন মামলা দেওয়া সব ভয় ভীতি দেখান। লোক লজ্জার
ভয়ে পেটের ছেলে এমন কর্মকাণ্ড কেহ প্রকাশ করতে পারিনা। আমার ছেলে বিচারক
হওয়ার সুবাদে সকল প্রশাসন ও পুলিশ তার কথায় চলে বিভিন্ন অফিস থেকে অবৈধ
সুবিধা নেয়। আমার মেয়ে ও আমাকে একেবারে সহ্য করতে পারছে না। আওয়োমী লীগ
নেতা কারিমা বেগম ও তার স্বামী জুলফিকার আলীকে আমাদেরকে হত্যার নির্দেশ
দিয়েছে। তারা প্রায়ই আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে দাও কুরআন নিয়ে আসে। এই
জমিতে আমার বসতঘরের একটি কুড়েঘর নির্মাণ করে মেয়ে জামাই নাতি-নাতনিদের
নিয়ে আমরা বসবাস করি। সম্প্রতি কারিমা বেগম ও জুলফিকারকে দিয়ে আমার বাড়ির
সামনে একটা বড় নালা কেটে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছে। আমার
নিজের পেটের ছেলে এভাবে নির্যাতন করছে যেন মরে গেলে ভালো হতো।
এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও আইনি
উপদেষ্টার হস্থক্ষেপ কামনা করছি। আমি আমার মেয়ের বাঁচার অধিকার চাই।
তাছাড়া আমার ছেলে ও তার সহযোগিদের নির্যাতনের হাত থেকে বাচার আকুতি
জানান বৃদ্ধা মা।
https://www.kaabait.com