• শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০১:১৪

মির্জাগঞ্জে পুত্রবধূকে হত্যার অভিযোগে  মা ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা 

প্রতিনিধি: / ৪৩ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

মাসুম বিল্লাহ, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ  পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সাতবাড়িয়া হাজীখালি গ্রামে পুত্রবধূ হত্যা মামলায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও আসামি হয়েছেন ফিরোজা বেগম (৪৫) নামের এক শাশুড়ি। তিনি দুই দিন ধরে সাত কিলোমিটার দূরের উপজেলার পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের বাপের বাড়িতে ছিলেন বলে জানান অনেকে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মোসাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস (২২) কে তাঁর স্বামী এবং শাশুড়ি যৌতুকের দাবিতে মারধর করে হত্যা করে। প্রাথমিকভাবে ভিকটিমের স্বামী বিষয়টি আত্মহত্যা মর্মে প্রচার করে এবং তাৎক্ষণিক ভিকটিমকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমের সুরতহাল রিপাের্ট প্রস্তত করে এবং মৃতদেহ ময়না তদন্তের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে।
যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃতের পিতা উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের চত্রা গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান(৫২) মির্জাগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেন।
যাতে তার জামাই মােঃ ফিরোজ সিকদারকে ১নং এবং ফিরোজের মাতা মোসাঃ ফিরোজা বেগমকে ২নং আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে যৌতুকের দাবিতে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে এই মর্মে মামলা দায়ের করেন।  স্ত্রীকে নিয়ে আসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফিরোজ সিকদারকে প্রথমে জিজ্ঞাসা করার জন্য থানায় আনা হয়, মামলা করা হলে একদিন পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলাটি তদন্তাধীন আছে।
তবে স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফিরোজ সিকদার ও তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস দুইজন বাড়িতে ছিল। ফিরোজা বেগম ঘটনার আগের দিন সকাল থেকে বাড়ি ছিলেন না। সুবিদখালীতে তাঁর বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ছিলেন।
সাতবাড়িয়া হাজীখালী গ্রামের প্রতিবেশী সুজন সিকদার জানান, ঘটনা সংঘটিত হয় ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় । ওই সময় ফিরোজা বেগম বাড়িই ছিলেন না‌। তিনি তাঁর বাবার বাড়িতে  গিয়েছেন ইফতার ও দোয়ায় অংশগ্রহণের জন্য।
আসামি ফিরোজা বেগমের পিতা উপজেলার পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের মোঃ আব্দুল হাই হাওলাদার জানান, আমার বাড়িতে ইফতার করাইছি বৃহস্পতিবার। আমার মেয়ে আগেরদিন বুধবার সকালে আমার বাড়িতে বেড়াইতে আসছে। আপনারা আশেপাশের সবার কাছে জাইন্না দেখেন ফিরোজা সহ আমার তিন মেয়ে আমার এখানেই ছিল।
ফিরোজা বেগমের বাবার বাড়ির প্রতিবেশি নিজাম রাঢ়ীর স্ত্রী সোনিয়া বেগম (৩০), সুবিদখালী গ্রামের দফাদার বাড়ির জানে আলমের স্ত্রী মোসাঃ নুপুর বেগম (৪২) সহ কয়েকজন ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ বুধবার ফিরোজা বেগম বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন এবং ঘটনার সময় এখানে ছিলেন বলে নিশ্চয়তা দেন।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাওলাদার বলেন, মেয়ের বাবার অভিযোগ যৌতুকের জন্য ছেলের সাথে পুত্রবধূকে নির্যাতন করতো শাশুড়ি। মামলার তদন্ত চলছে। শাশুড়ি তদন্তে নিরাপরাধ প্রমাণিত হলে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া  হবে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com