বিদেশ : ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রিভি রিহ-এর একটি হোটেলে রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এতে চারজন নিহত এবং ২৯ জন আহত হন। তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা ২ জন বলা হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বেড়ে উঠেছেন দেশটির নিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের ক্রাইভি রিগ শহরে। গত বুধবার গভীর রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত ২৯ জনের মধ্যে বিশজনের অবস্থা গুরুতর। অনেক সময় ধরে চলছে উদ্ধার অভিযান। নগরীর সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেকজান্ডার ভিলকুল টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে জানিয়েছেন এ তথ্য। টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা সংস্থা জানিয়েছে, হোটেলটির ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভবনটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হোটেলের ওপর থেকে ধোঁয়া উড়ছিল এবং প্রায় সকল জানালা উড়ে গিয়েছিল। ওপরের ওঠার জন্য ক্রেন মোতায়েন করা হয়েছিল। তিন বছর আগে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নিজ শহর ক্রিভি রিহ, ঘন ঘন লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ওই হোটেলের পাশাপাশি ১৪টি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন, একটি ডাকঘর, প্রায় দুই ডজন গাড়ি, একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ১২টি দোকান ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘একটি মানবিক সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকরা ওই হোটেলে ছিলেন। তাদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের নাগরিকরাও ছিলেন, তবে হামলার আগেই তারা সেখান থেকে বের হয়ে যান।’ জেলেনস্কি আজ ব্রাসেলসে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে একটি শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তখনই ক্রিভি রিহতে এ হামলা হলো। এদিকে সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি এবং সামরিক সহায়তার সরবরাহ স্থগিত করছে। এমনকি পোল্যান্ডে থাকা সরঞ্জামগুলোও সীমান্ত অতিক্রম করতে পারবে না। গত রাতে, ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে চাই যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পাশে থাকবে, যদি তা না হয় তবে আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে’। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে শিগগির ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে পারে রাশিয়া। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে ওয়াশিংটন। এর মধ্যেই চলছে ইউক্রেন যুদ্ধ।