সর্বশেষ :
লক্ষ্ণীপুরে বিএনপি নেতার ঘরে তালা দিয়ে আগুন: ঘুমন্ত শিশু নিহত, দগ্ধ ৩ ধর্ম নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় হত্যা করে লাশ পোড়ানো, গ্রেপ্তার ৭ নিথর দেহে দেশে ফিরলেন ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় মানিক মিয়ায় ওসমান হাদির শেষ বিদায়, জানাজা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ওসমান হাদির মৃত্যুতে পালিত হচ্ছে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক অস্থির পরিস্থিতিতে শিল্পকলার সব আয়োজন বন্ধ ওসমান হাদির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, দুপুরে সংসদ ভবনে জানাজা লাঠি ভর দিয়ে চলা বৃদ্ধও আসামি:  মোরেলগঞ্জে হয়রানিমূলক মামলা  প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ  ও মানববন্ধন কুতুবদিয়ায় আলফা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মৃত্যুদাবি পরিশোধ বাগেরহাটে হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে  বিক্ষোভ
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

বাস থামিয়ে পাকিস্তানে ৭ যাত্রীকে হত্যা

প্রতিনিধি: / ১২০ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের বারখান জেলায় এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় সাত বাসযাত্রী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে লাহোরগামী একটি বাস থামিয়ে অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে এবং সাতজনকে নামিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এখনও কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, বারখানের রারকান এলাকায় জাতীয় মহাসড়কে প্রায় ৪০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি বেশ কয়েকটি যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি চালায়। এরপর তারা বাসে উঠে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র পরীক্ষা করতে থাকে। সাতজনকে আলাদা করে কাছের একটি পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই গুলির শব্দ শোনা যায়। পরে নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতরা সকলেই পাঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন।
বেলুচিস্তান পাকিস্তানের একটি উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চল, যেখানে সাম্প্রদায়িক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্তবর্তী এই প্রদেশে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ব্যাপক স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানিয়ে আসছে এবং সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেলুচিস্তানে সহিংসতার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র কয়েকদিন আগে কয়লা খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের বহনকারী একটি যানবাহনে বোমা হামলা চালিয়ে ১১ জনকে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া, গত আগস্টে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছিলেন। বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) নামে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এর আগেও এমন হামলার দায় স্বীকার করেছে, তবে এবারের হামলার বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেনি।
ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং হামলাকারীদের খোঁজে অভিযান শুরু করে। তবে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়, ফলে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনায় দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তান সরকারকে আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুবা, এই ধরনের সহিংসতা দেশটির স্থিতিশীলতাকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।


এই বিভাগের আরো খবর