সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করলে মামলা ও জরিমানার নির্দেশনায় নাখোশ হয়েছেন এসব পরিবহনের চালকরা। এজন্য তারা রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে শতাধিক সিএনজি অটোরিকশাচালক রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে টেকনিক্যাল কলেজ মোড় অবরোধ করে রাখেন। পুলিশ বলছে, বাধ্যতামূলক মিটারে সিএনজি চলাচলের সিদ্ধান্ত না মানার ঘোষণা দিয়েছেন সিএনজিচালকরা। শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম আযম জানান, সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ১০০ থেকে ১০৫ জনের মতো সিএনজিচালক সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করেন। এ সময় তারা বাধ্যতামূলকভাবে মিটারে যাত্রী নিয়ে চলাচলের বিরোধিতা করে স্লোগান দেন। তবে ১০টা ৫ মিনিটে সময় তারা সড়ক ছেড়ে দেন। এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সিএনজি ও পেট্রোলচালিত অটোরিকশাকে মিটারে যাত্রী বহনের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি ইস্যু করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। অন্যথায় চালকের বিরুদ্ধে মামলা এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সিএনজি অটোরিকশার দৈনিক জমা ৯০০ টাকা হলেও মালিকরা ১১০০-১২০০ টাকা নিচ্ছেন। আইনে শিফটিং পদ্ধতি না থাকলেও মালিকরা দুই-তিন শিফট চালিয়ে ১৬০০-১৮০০ টাকা আদায় করছেন। কোনো শ্রমিক আপত্তি জানালে চাবি রেখে দেওয়া বা চাকরি হারানো নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিএনজিচালকদের অভিযোগ, মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা, পথে পথে চাঁদাবাজি, স্ট্যান্ডের নামে অবৈধভাবে অর্থ আদায়সহ নানা কারণে তারা সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক অটোরিকশা চালাতে পারেন না। অতিমুনাফালোভী মালিকদের জন্য তারা বাধ্য হয়ে মিটার ছাড়া সিএনজি চালান। কারণ, প্রতি শিফটে মালিককে জমা দিতে হয় ৯৫০ টাকা। আর রাতের শিফটে সকাল ৬টা অবধি চালালেও মালিককে দিতে হয় ৯০০ টাকা। ফলে, তাদের পক্ষে মিটারে সিএনজি চালিয়ে পরিবার নিয়ে রাজধানীতে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। অন্যদিকে যাত্রীদের অভিযোগ, সিএনজিচালকরা মিটারের বাইরে গিয়ে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করেন। মিটারে যেখানে দুইশ’ টাকা ভাড়া আসার কথা, সেখানে তারা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া হাঁকান। এমনকি বৃষ্টি বা বৈরী আবহাওয়ায় এই ভাড়া হাঁকানো সীমার বাইরে চলে যায়।