• শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ০৪:৩৬

মোরেলগঞ্জে পরিবার কল্যাণ সহকারীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে  

প্রতিনিধি: / ৭৪ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

  এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :  বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিবার কল্যান সহকারি শামীম আরাকে অফিসে ডেকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান তারেক এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক বিচারের দাবি জানিয়ে ওই পরিবার কল্যান সহকারির স্বামী মিজানুর রহমান বাদি হয়ে মহাপরিচালক পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, চেয়ারম্যান দুদক কার্যালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা ১/খ ইউনিটের পরিবার কল্যান সহকারি হিসেবে শামীম আরা দীর্ঘ বছর ধরে এ কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি শারিরীক অসুস্থতার কারনে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারী থেকে ৩ দিনের নৈমত্তিক ছুটি নিয়ে চিকিৎসা গ্রহন করেন। পরবর্তীতে ছুটি শেষ হতে না হতেই অসুস্থতা তীব্রতর হলে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি হন। চিকিৎসারত অবস্থায় বিষয়টি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসান তারেকের মোবাইল ফোন ও  ম্যাসেঞ্জারে ছবি পাঠিয়ে অবহিত করা হয়। কর্মকর্তা অসুস্থতার কথা যেনেও শামীম আরাকে ফোন করে অফিসে তলব করেন । পরে তিনি তার ছোট বোনকে সাথে নিয়ে অফিসে আসলে কর্মকর্তা ডা. হাসান তারেক তার বোনকে কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে শামীম আরার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে লাঞ্ছিত করেন । এ সময় তিনি মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে কর্মকর্তার দপ্তরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে পরবর্তীতে তার অফিসের লোকজন তার বোনের মাধ্যমে তাকে পাঠিয়ে দেন। এ সময় তিনি অফিস থেকে সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে মেরুদন্ডে প্রচন্ড আঘাত পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
এদিকে এ লাঞ্ছিতের ঘটনার পর থেকে পরিবার কল্যান সহকারি গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার দাবি জানিয়ে পরিবার কল্যাণ সহকারীর স্বামী মিজানুর রহমান পরিবার পরিকল্পনা মহা পরিচালক দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বাদি মো. মিজানুর রহমান বলেন, তার স্ত্রীকে লাঞ্ছিতের ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে পায়তারা চালাচ্ছে। এ কর্মকর্তা তার দপ্তরে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সুষ্ঠু সঠিক তদন্ত ব্যহত হাওয়ার আশংকা করছেন তিনি।

চিকিৎসায় থাকা পরিবার কল্যান সহকারি শামীম আরা বলেন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান তারেক অফিসে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই খামখেয়ালীভাবে মাঠ কর্মীদের সাথে একের পর এক দুর্ব্যবহার করে আসছেন। তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় অফিসের মধ্যে মাঠ কর্মীদের চাপপ্রয়োগ করে তার বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর তুলেন। ৫ বছর কিভাবে চাকুরি করবেন সে ধুমকিও শুনতে হয়েছে। তার ওপর অন্যায় হয়েছে। তিনি ন্যায় বিচার দাবি করছেন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান তারেক তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, পরিবার কল্যান সহকারীকে গালমন্দ করেননি। তার কেন্দ্রে একাধিকবার পরিদর্শনে গিয়ে তাকে না পেয়ে রেজিষ্টার নিয়ে অফিসে আসতে বলা হয়েছিলো। তবে, ছুটিতে থাকাকালিন নয়।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com