বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

ইউএসএইডকে পররাষ্ট্র দফতরের অধীনে আনতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন

প্রতিনিধি: / ১৪০ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএইড) স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে এটিকে পররাষ্ট্র দফতরের অধীনে আনার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। গত শুক্রবার এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সঙ্গে জড়িত দুটি সূত্র জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের বৈদেশিক সাহায্য বরাদ্দের কাঠামোতে এটি একটি বড় পরিবর্তন আনবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। তবে সমালোচকদের আশঙ্কা, এটি ইউএসএইডের স্বায়ত্তশাসন কমিয়ে দিতে পারে এবং বৈশ্বিক উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে রাজনৈতিক স্বার্থের সাথে জড়িয়ে ফেলতে পারে। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল এ সপ্তাহে এই বিষয়ে আলোচনা করেছে বলে জানা গেছে। একজন মার্কিন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, এই ধরনের পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তবে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। প্রশাসন গত সপ্তাহে মার্কিন বৈদেশিক সাহায্য স্থগিত করে বলেছে, তারা একটি পর্যালোচনা পরিচালনা করছে যাতে নিশ্চিত করা যায় যে বিশ্বব্যাপী কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের এই ধরনের সহায়তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ পররাষ্ট্র নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং করদাতাদের অর্থের অপচয় হচ্ছে না। একটি সূত্র জানিয়েছে, হোয়াইট হাউজ ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ জারি করার আইনি ক্ষমতা যাচাই করছে, যার মাধ্যমে ইউএসএইডের স্বাধীনতা বাতিল করা যেতে পারে। গত শুক্রবার রাত বা শনিবারের মধ্যেই এই ধরনের আদেশে স্বাক্ষর করতে পারেন তিনি। ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস মারফি, যিনি সিনেট পররাষ্ট্র সম্পর্ক কমিটির সদস্য, গত শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এঙ্ েপোস্ট করে বলেন, ‘আজ রাতে ইউএসএইডের দিকে নজর রাখুন।’ তবে এখনও স্পষ্ট নয় যে কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে ট্রাম্প ইউএসএইডকে পররাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে একীভূত করার আইনি ক্ষমতা রাখেন কিনা। রয়টার্স দ্বারা পর্যালোচনা করা ইউএসএইড অফিসের ছবিগুলোতে দেখা গেছে যে সংস্থার সরকারি সীলমোহরযুক্ত ফলকগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে পররাষ্ট্র দফতরে একীভূতকরণের কাজ চলছে। ইউএসএইড এবং হোয়াইট হাউজ এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইউএসএইড পররাষ্ট্র দফতরের অধীনে গেলে, এটি বৈশ্বিক জীবন রক্ষাকারী সহায়তার ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় একক দাতা দেশ।


এই বিভাগের আরো খবর