বিদেশ : যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের গ্রহণে সম্মত হওয়ায় কলম্বিয়ার ওপর শুল্ক আরোপ স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসির। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো অভিবাসীবাহী দুইটি মার্কিন সামরিক বিমানের অবতরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ডোনাল্ড ট্রাম্প গত রোববার কলম্বিয়ার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের নির্দেশ দেন। প্রথম দিকে পেত্রো বলেছিলেন, তার দেশ “বেসামরিক বিমানের মাধ্যমে” অভিবাসীদের গ্রহণ করবে। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কলম্বিয়া এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক বিমানের মাধ্যমে অভিবাসীদের “বাধাহীন এবং বিলম্ব ছাড়াই” গ্রহণে সম্মত হয়েছে। ওয়াশিংটন থেকে ফেরত পাঠানো নাগরিকদের কলম্বিয়া সম্মানজনকভাবে গ্রহণের নিশ্চয়তা দিয়েছে। গত রোববার পেত্রো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমানের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, অভিবাসীদের “সম্মান ও মর্যাদার” সঙ্গে ফেরত পাঠানো উচিত। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে “তাৎক্ষণিক ও কঠোর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ” ঘোষণা করেন, যার মধ্যে শুল্ক ও ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত ছিল। পেত্রো পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় টুইটারে (এঙ্) নিজের শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন এবং কলম্বিয়ার ঐতিহ্য ও শক্তির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আপনার অবরোধ আমাকে ভয় জাগায় না, কারণ কলম্বিয়া সৌন্দর্যের দেশ এবং এটি পৃথিবীর হৃদয়।”কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই পক্ষের মতবিরোধ সমাধানে পৌঁছায়। হোয়াইট হাউস জানায়, কলম্বিয়া ট্রাম্পের “সব দাবি” মেনে নিয়েছে। হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, কলম্বিয়া যদি এই চুক্তি পালন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শুল্ক কার্যকর করা হবে। ট্রাম্প আগে ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং সীমান্তে কলম্বিয়ান নাগরিকদের ওপর বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দিয়েছিলেন। হোয়াইট হাউস বলেছে, “প্রথম প্লেনভর্তি কলম্বিয়ান অভিবাসী সফলভাবে ফেরত পাঠানো পর্যন্ত” এই পদক্ষেপগুলো কার্যকর থাকবে।