বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র জন্মবার্ষিকী পালিত

প্রতিনিধি: / ২০১ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি: ’ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’ অমর এই গানের স্রষ্টা তারুণ্য
ও সংগ্রামের দীপ্তপ্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ৬৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
দিনটির স্মরণে বুধবার সকালে বাগেরহাটের মোংলায় কবির নিজ গ্রামের বাড়ি মিঠেখালিতে
রুদ্র স্মৃতি সংসদ কবির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল, দোয়া এবং রুদ্র
স্মরনানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

????????????????????????????????????

মুহম্মদ শহিদুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাপীঠে রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও রুদ্রের
অনুজ সুমেল সারাফাতের সভাপতিত্বে সকাল ১০টায় স্মরণসভায় মোংলা উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা আফিয়া শারমিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় আরো
আলোচনা করেন, মোংলা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুদ রানা, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন
কর্মকর্তা সবুজ বৈরাগী, পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নূর
আলম, ফাদার রিগন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুভাষ মন্ডল, চালনা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক
প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন, মোংলা সরকারি কলেজের প্রভাষক মাহবুবুর রহমান, রামপাল
সরকারি কলেজের প্রভাষক নজরুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা শেষে রুদ্রের গান পরিবেশন করেন
রুদ্রের গড়া সংগঠন অন্তর বাজাও। স্মরণানুষ্ঠান শেষে আমাদের গ্রামের উদ্যোগে অসহায়
মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্যে দিনব্যাপী স্বাস্থ্যক্যাম্প পরিচালিত হয়। দুই
শতাধিক নারী -পুরুষ বিনামূল্যে এ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহন করেন।
স্মরণসভায় সভায় বক্তারা বলেন, রুদ্র ছিলেন তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক। সমাজের সকল
বৈষম্য, সাম্প্রায়িকতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরেছেন। দেশ ও জাতির সংকটে রুদ্রের
কবিতা হয়ে উঠেছে তারুণ্যের হাতিয়ার। বুদ্ধবৃত্তিক আপোষকামিতায় দেশ যখন আকন্ঠ
নিমজ্জিত, সত্য যখন নির্বাসনে এই রকম অস্থির সময়ে রুদ্রকে আমাদের নিজেদের জন্যে, দেশের
জন্যে খুব প্রয়োজন ছিল। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন রুদ্র তার কবিতা, গানের মধ্য দিয়ে
বেঁচে থাকবেন।
অকালপ্রয়াত এই কবি নিজেকে মিলিয়ে নিয়েছিলেন আপামর নির্যাতিত মানুষের আত্মার
সঙ্গে। সাম্যবাদ, মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহ্যচেতনা ও অসাম্প্রদায়িকতার উজ্জ্বল তার কবিতা। ‘জাতির
পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন’ এই নির্মম সত্য অবলোকনের পাশাপাশি
উচ্চারণ করেছেন অবিনাশী স্বপ্ন ‘দিন আসবেই দিন সমতার’। যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও
ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থান তাকে পরিণত করেছে তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীকে। একই সঙ্গে
তাঁর কাব্যের আরেক প্রানন্তর জুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা।
মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য
এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ সহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন।
পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের
শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন। ‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই
স্বর্নগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দু’বছর ‘মুনীর
চৌধুরী সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ
গঠনে এই কবি গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন।


এই বিভাগের আরো খবর