সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

কপিলমুনি প্রেসক্লাবের বৈধ কমিটি ‘বাতিল ঘোষণা করে বিএনপির দখলে! এলাকায় সমালোচনার ঝড়

প্রতিনিধি: / ২২২ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪

কপিলমুনি (খুলনা) অফিস: গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দখলদারিত্বের নতুন নজির  দেখিয়েছে বিএনপি। দেশজুড়ে ক্ষমতার পালা বদলের হিড়িকের মধ্যে গত ৬ সেপ্টেম্বর কপিলমুনি
প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠা কালীন সদস্য ও সাবেক সভাপতি জিএম হেদায়েত আলী টুকু ও সাবেক
সহ-সভাপতি মুন্সি রেজাউল করিম মহব্বতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একদল বহিরাগত উশৃঙ্খল
যুবকদের নিয়ে এলাকায় বহুল আলোচিত পাইকগাছা উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহŸায়ক ও
প্রেসক্লাবের সদস্য আমিনুল ইসলাম বজলু তাদের প্রতি চড়াও হয়ে ভীতি প্রদর্শন করে পদত্যাগ
পত্রে জোর পূর্বক স্বাক্ষর করে নেয়। এর একদিন পর গত ৭ সেপ্টেম্বর ক্লাবের সাবেক সাধারণ
সম্পাদক দৈনিক ভোরের ডাক এর কপিলমুনি প্রতিনিধি মিলন কুমার দাশ ক্লাবের দাপ্তরিক কাজ
করার সময় ক্লাবে প্রবেশ করে আচমকা তাকে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করে ভয় ও বল প্রয়োগের
মাধ্যমে তার কাছে থাকা ক্লাবের সকল চাবি ছিনিয়ে নিয়ে প্রেসক্লাবে ঢোকার নিষেধাজ্ঞা
দিয়ে তাকে ক্লাব থেকে বের করে দেওয়া হয়। ‘প্রেসক্লাব একটি অরাজনৈতিক ও সর্বজনীন
পেশাজীবী সংগঠন। তবে এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের শামিল।থ
বিএনপির এই অবিমৃষ্যকারী, এখতিয়ারবহির্ভূত ও নজিরবিহীন কাÐে স্তম্ভিত হয়ে পড়েন
গণমাধ্যমকর্মীসহ সচেতন মহল। সাংবাদিকদের পেশাজীবী সংগঠনকে একটি রাজনৈতিক দলের
পক্ষ থেকে ‘বাতিল ঘোষণায়থ সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনি প্রেসক্লাবে
কতিপয় স্থায়ী সদস্যের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ড,হঠকারিতা এবং বহিরাগতদের নিয়ে
ক্লাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাশাপাশি ক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য সাংবাদিকরা ক্ষোভ
প্রকাশ করেন। ক্লাবের স্থায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থনকে পাশ কাটিয়ে গুটি কয়েক সদস্য
নিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়, যা গঠনতন্ত্র পরিপন্তী। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী
দল বিএনপ্#ি৩৯;র একটি অঙ্গ সংগঠনের একদল নেতাকর্মীদের নিয়ে ক্লাবে মহড়া দিয়ে ক্লাবের
কর্মরত প্রগতিশীল সাংবাদিকদের ভীতি প্রদর্শনের অপকৌশল কে ধিক্কার জানানো হয়।
অন্যদিকে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এবং জনসম্মুখে হেয় করার অভিপ্রায়ে ক্লাবের
তিনজন জ্যেষ্ঠ সদস্যকে কথিত বহিষ্কারের প্রচার চালানোর চরম ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও
ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা। এ ঘটনার কয়েকদিন পর ক্লাবের আলমারির চাবি দাবি করে
বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিলন জানান । বর্তমানে মিলন
কুমার দাশ ও তার পরিবার সদা ভীতির মধ্যে রয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় প্রেসক্লাবের
শুভাকাঙ্খী,সুহৃদ ও স্থানীয় সুধীজনরা বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি ঘটনাটি তদন্তপূর্বক
দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।


এই বিভাগের আরো খবর