মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

হতাশায় কৃষকরা শরণখোলায় নিম্নমানের বীজের চারা রোপনের ১৫ দিনেই ফলন

প্রতিনিধি: / ১৭৫ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শরণখোলা আঞ্চলিক অফিস: শরণখোলায় নিম্নমানের বীজ ধানের চারা রোপনের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ফলন আসায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এধরনের ফলনের ধান সম্পূর্ণ চিটা হয়ে যায় বলে চাষীদের এ হতাশার কারণ।
ডিলাররা নিম্নখোঁজ নেওয়ার জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে পাঠানো হবে বলে তিনি মানের বীজ বিক্রি করায় তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা ও সোনাতলা
গ্রামে গিয়ে কথা হয় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক জালাল তালুকদার, রুবেল তালুকদার,আলী আজিম, মোশাররফ
তালুকদার, আজিজ জোমাদ্দার, ইব্রাহিম ও পিন্টু হাওলাদারের সাথে। এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন,
গত শ্রাবণ মাসের শেষের দিকে স্থানীয় তাফালবাড়ি বাজারের বীজ ব্যবসায়ী বাবুল সরদারের কাছ থেকে
“বেঙ্গল সিড” নামে একটি কোম্পানির স্বর্না জাতের ধানের বীজ দিয়ে চারা তৈরী করে জমিতে
রোপন করেন। কিন্তু রোপনের ১৫ দিনের মাথায় ধানের চারায় ফলন দেখা যায়। যা দেখে কৃষকরা হতাশ হয়ে
পড়েন। তাদের দাবি অসময়ের ওই ধান সব চিটে হয়ে যাবে। ফলে এবছর তারা কোনো ফসল ঘরে নিতে
পারবেন না। সব মিলিয়ে একেকজনের দুই-তিন বিঘাসহ ৭ কৃষকের ২০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে
গেছে। এবং প্রত্যেক কৃষকের এক থেকে দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হবে বলেও জানান তারা। এ জন্য বীজ
ব্যবসায়ীর কাছে ক্ষতিপূরণ চান ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
এ ব্যাপারে তাফালবাড়ি বাজারের বীজ ব্যবসায়ী বাবুল সরদার বলেন,তার কাছে বীজ ছিলনা। তিনি
উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের বীজ ব্যবসায়ী রফিক মীরের কাছ থেকে বীজ নিয়ে কৃষকদের
দিয়েছেন। তবে,রায়েন্দা বাজারের কীটনাশক ও বীজ ব্যবসায়ী রফিক মীর বলেন,বাবুল সরদার তার কাছ
থেকে বীজ নেননি। তিনি খুলনা থেকে এনেছেন।
শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, কৃষকদের ধান নষ্ট হওয়ার খবর কেউ তাকে
জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট বীজ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।


এই বিভাগের আরো খবর