শিব্বির আহমেদ, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট): প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে তছনছ হয়েছে বিদ্যালয়। ভেঙ্গে গেছে
আসবাবপত্র। পুনঃসংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস চালু করা সম্ভব নয়। খাউলিয়া
ইউনিয়নের উত্তর চিপা বারইখালী বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সম্পূন
বিধস্ত।
খাউলিয়া ইউনিয়নের উত্তর চিপা বারইখালী বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি
ঘূর্ণিঝড় রিমালে বিদ্যালয়টি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ে বই ভাতা, বিভিন্ন
দিবসের ব্যানার, শিক্ষা উপকরণ, শিশুতোষ বই,সহ হাজিরা খাতা, রেজুলেশন খাতা
পানিতে ভেসে গেছে। পানি উত্তোলনের মটার ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। পানিয় জলের
ব্যবস্থা নেই। প্রধান শিক্ষক ইউসুব আলী জানান, পুনঃনির্মাণ কিংবা
পুনঃসংস্কার ছাড়া ক্লাশ করা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে উত্তর চিপা বারইখালী বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
মজিবুর রহমান বলেন, ৩য় ধাপের এ বিদ্যালয়টি ঘূর্ণিঝড় রিমালে ভেসে গেছে।
টিন সেডের ঘরটি ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয় পড়েছে। প্রশাসনের
প্রতি দাবি একটি টিনসেড ঘর নির্মাণের।
অপরদিকে উপজেলা পড়ে পৌর সদরে অবস্থিত আব্দুল আজিজ মেমোরিয়াল বহুমুখী
মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালে প্রতষ্ঠিত। ২০০৭ সালের সিডরে বিদ্যালয়টি
সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। সেই থেকে বিদ্যালয়টি নানা টানা পোড়নে খুড়িয়ে
খুড়িয়ে চলছে। বিদ্যালয়ের টিন সেটটি ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়
পড়েছে। শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষায় টিন সেট ঘরে ক্লাশ করা সম্ভব হয়না। যার কারনে
বিপাকে পড়তে হয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষাথীদের। বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। গেল রেমালের
আঘাতে আবারো বিধ্বস্ত হয়েছে বিদ্যালয়টি। টিন উড়ে গেছে। আসবাবপত্র
ভেঙে গেছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, পাঠ্যবই সহ বিভিন্ন জিনিস ভিজে নষ্ট
হয়ে গেছে। সহকারি প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন হেলাল জানান,
বিদ্যালয়টি জরুরী ভিত্তিতে পুনঃসংস্কার প্রয়োজন। অন্যথায় শিক্ষা কার্যক্রম
ব্যাহত হবে।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা এসএম সাইফুল আলম জানান,
ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার সকল ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলোর তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ
করা হয়েছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।