বিদেশ : বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আবারও রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৫০০ ডলারের সীমা ছুঁইছুঁই করছে। মার্কিন-ভেনিজুয়েলা উত্তেজনার জেরে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে মূল্যবান এই ধাতুর দিকে ঝুঁকছেন। একইসঙ্গে রুপার দামও পৌঁছেছে নতুন উচ্চতায়। গতকাল মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৪ হাজার ৪৮৬ দশমিক ৪১ ডলারে দাঁড়িয়েছে, সেশনের শুরুতে যা রেকর্ড ৪ হাজার ৪৯৭ দশমিক ৫৫ ডলারে পৌঁছেছিল। ফেব্রুয়ারি ডেলিভারির জন্য মার্কিন স্বর্ণের ফিউচার ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৪ হাজার ৫১৯ দশমিক ৭০ ডলারে লেনদেন হয়েছে। কেসিএম ট্রেডের প্রধান বাজার বিশ্লেষক টিম ওয়াটারার বলেন, ‘মার্কিন-ভেনিজুয়েলা উত্তেজনা বিনিয়োগকারীদের কাছে অনিশ্চয়তার বিপরীতে সুরক্ষা হিসেবে স্বর্ণকে আবারও নজরে এনেছে। মার্কিন সুদের হার আরও কমতে পারে-এমন প্রত্যাশার মধ্যেই চলতি সপ্তাহে স্বর্ণের দামে এই উত্থান দেখা যাচ্ছে। এদিকে স্পট মার্কেটে রুপার দাম রেকর্ড ৬৯ দশমিক ৯৮ ডলার ছুঁয়েছে। চলতি বছরে রুপার দাম বেড়েছে ১৪১ শতাংশের বেশি। সরবরাহ ঘাটতি, শিল্প খাতে চাহিদা এবং বিনিয়োগ প্রবাহের কারণে রুপার বৃদ্ধির হার স্বর্ণকেও ছাড়িয়ে গেছে। পেপারস্টোনের সিনিয়র কৌশলবিদ মাইকেল ব্রাউন বলেন, উৎসবের মৌসুমে তারল্য কমে যাওয়ায় বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা দেখা যেতে পারে। তবে ভলিউম বাড়লে আবারও ঊর্ধ্বগতি শুরু হবে বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, আগামী বছর স্বর্ণের জন্য ৫ হাজার ডলার এবং দীর্ঘমেয়াদে রুপার জন্য ৭৫ ডলার একটি স্বাভাবিক লক্ষ্য হতে পারে। অন্যদিকে স্পট প্লাটিনামের দাম ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ২ হাজার ১৪৫ দশমিক ১০ ডলারে পৌঁছেছে, যা ১৭ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্যালাডিয়ামের দামও ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে তিন বছরের সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮১৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে।