বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০৪ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

এবার ভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে কিয়ারাকে

প্রতিনিধি: / ১ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

‘কেজিএফ’ দিয়ে ভারতীয় সিনেমার মানচিত্র বদলে দেওয়া কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশের পরবর্তী সিনেমা নিয়ে দর্শকের প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া। সেই প্রত্যাশার মাঝেই নতুন মাত্রা যোগ করলেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের ‘টঙ্কি: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’। এই সিনেমার সবচেয়ে আলোচিত দিকগুলোর একটি- প্রথমবার ইয়াশের বিপরীতে দেখা যাবে বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানিকে। শুধু নায়িকা হিসেবে নয়; বরং তাঁর অভিনীত চরিত্রটি এক জটিল, বহুস্তরবিশিষ্ট। টঙ্েিক কিয়ারা অভিনীত চরিত্রের নাম নাদিয়া। সদ্য প্রকাশ হওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারেই যা স্পষ্ট। এমন চরিত্র কিয়ারার আগের কোনো কাজের সঙ্গে মেলে না। আলো ঝলমলে সার্কাসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকা নাদিয়ার চোখেমুখে নেই সাফল্যের আত্মতৃপ্তি, নেই শিল্পীর গর্ব; বরং সেখানে জমে আছে ক্লান্তি, বিষণ্নতা আর একরাশ না-বলা গল্প। সার্কাসের সবই যেন দর্শকের চোখে আনন্দ, রং, উত্তেজনা। কিন্তু সেই মঞ্চের পেছনের বাস্তবতা প্রায়ই থাকে অদৃশ্য। নাদিয়া ঠিক সেই অদেখা জীবনের প্রতিনিধি। অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউনে, আলোয় মোড়া সেটে দাঁড়িয়ে থাকা নাদিয়া যেন এক জীবন্ত বৈপরীত্য-বাইরে হাসি, ভেতরে ক্ষত। গিতু মোহনদাসের নির্মাণ বরাবরই মনস্তাত্ত্বিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করেই হয়। টঙ্েিকও তিনি সেই ধারাবাহিকতাই বজায় রেখেছেন। নাদিয়া এমন এক নারী, যিনি দর্শকের সামনে প্রতিদিন নিজেকে ভাঙেন, আবার সেই ভাঙা টুকরো দিয়েই পরদিন নতুন করে মঞ্চে দাঁড়ান। কিয়ারার অভিনয়ে এই দ্বৈত সত্তাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবং আকর্ষণ। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে বলিউডে যাত্রা শুরু করা কিয়ারা আদভানি প্রায় এক যুগে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মূলধারার সফল নায়িকা হিসেবে। প্রেম, পারিবারিক গল্প, অ্যাকশন, কমার্শিয়াল ড্রামা সবখানেই তাঁর উপস্থিতি ছিল সাবলীল। কিন্তু টঙ্কি যেন সেই পরিচিত বৃত্ত ভাঙার ঘোষণা। তিনি বলেন, ‘নাদিয়া এমন একটি চরিত্র, যেখানে গ্ল্যামার আছে, কিন্তু তা আড়াল তৈরি করে না; বরং চরিত্রের বেদনা আরও তীব্র করে তোলে। এখানে নায়িকা কিয়ারা নন, এখানে একজন শিল্পী নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে থাকা একজন নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছি। এখন আমি সিনেমাটি বড় পর্দায় দেখার জন্য মুখিয়ে আছি।’ কিয়ারার অভিনয় প্রসঙ্গে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় সীমাবদ্ধ থাকে না, শিল্পীর জীবনেও প্রভাব ফেলে। টঙ্েিক কিয়ারা যা করেছে, তার তুলনা হয় না। তিনি শুধু নাদিয়াকে অভিনয় করেননি, চরিত্রটিকে নিজের ভেতর বাঁচিয়েছেন।’ নির্মাতার এই বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়- টঙ্কি কিয়ারার ক্যারিয়ারে শুধুই আরেকটি সিনেমা নয়; বরং একটি মানসিক ও শৈল্পিক রূপান্তরের অভিজ্ঞতা। অন্যদিকে ভারতীয় সিনেমায় ইয়াশের শক্তিশালী, রুক্ষ পর্দা-ইমেজের বিপরীতে কিয়ারার অভিনয় নিয়েই দর্শকের কৌতূহল সবচেয়ে বেশি। দুজনের রসায়ন যে শুধুই রোমান্টিক সমীকরণে আটকে থাকবে না; বরং গল্পের গভীর স্তরে গিয়ে ধাক্কা দেবে সেই ইঙ্গিত ইতোমধ্যেই মিলেছে। এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয়সহ আরও অনেকে। ভিএন প্রোডাকশন ও মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত এই বিগ-বাজেট সিনেমা মুক্তি পাবে ১৯ মার্চ ২০২৬। ইংরেজি ও কন্নড় ভাষায় শুটিং হওয়া টঙ্কি মুক্তি পাবে হিন্দি, তেলুগু, তামিল ও মালয়ালমসহ একাধিক ভাষায়। এদিকে চলতি বছরটাও ব্যক্তিগত জীবনেও কিয়ারার জন্য ছিল বিশেষ। চলতি বছরের ১৫ জুলাই মা হয়েছেন তিনি। আপাতত সন্তানকে ঘিরেই কাটছে তাঁর সময়।


এই বিভাগের আরো খবর