মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১৭ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

আসিয়ানের বৈঠকের দিনেই থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে ফের সংঘর্ষ

প্রতিনিধি: / ১ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

বিদেশ : থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষ থামাতে যখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মালয়েশিয়ায় আলোচনায় বসবে, ঠিক সেই সময় নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার থাইল্যান্ডের ‘টিভি ৩ মর্নিং নিউজ’ সা কাইও প্রদেশে গোলাগুলির খবর দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কম্বোডিয়ান বাহিনী ‘ভারী অস্ত্র’ দিয়ে গুলিবর্ষণ করেছ। একই সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে, থাইল্যান্ড বান্তে মিঞ্চায় প্রদেশে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে চারটি বোমা ফেলেছে ও প্রেই চ্যান গ্রামে বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করেছে। আজ ভোরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষের ঘটনা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত জুলাইয়ে মালয়েশিয়া সরকার ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে নতুন করে কার্যকর করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। ওই চুক্তির পর গত ৮ ডিসেম্বর থেকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে কিছুদিন পর পর সংঘর্ষ হচ্ছে। এ পর্যন্ত সংগঠিত সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং দুই দেশের সীমান্ত এলাকার প্রায় ১০ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। কম্বোডিয়ার একটি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মন্ত্রণালয় দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছে, কম্বোডিয়ার সেনারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা সাহসী ও অটল অবস্থানে থেকে আগ্রাসনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন এবং কম্বোডিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার দায়িত্বের প্রতি সতর্ক রয়েছেন।’ অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ছোট ছোট শিশুসহ সাধারণ মানুষ বোমা থেকে বাঁচতে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। স্থানীয় মানুষেরা যখন একসঙ্গে জড়ো হন, তখন কিছু শিশুকে আতঙ্কে কাঁদতে দেখা যায়। থাইল্যান্ড সরকার এখনো এ নতুন সংঘর্ষ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ভোরের দিকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের কার্যালয় থেকে বলা হয়, গত রোববার সন্ধ্যা নাগাদ তাদের সীমান্ত এলাকার ৫ লাখ ২৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের দেশের প্রায় ৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল দাবি পূর্বে করেছেন, তার দেশ কখনো আগ্রাসীর ভূমিকায় ছিল না। এদিকে, গতকাল সোমবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার প্রতিনিধিরাও অংশ নিচ্ছেন। নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ার পর এটি তাদের প্রথম সরাসরি বৈঠক। এর আগে গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর উভয় পক্ষকে ‘শত্রুতা থামানো, ভারি অস্ত্র প্রত্যাহার, মাইন বসানো বন্ধ ও কুয়ালালামপুর শান্তি চুক্তি পুরোপুরি কার্যকর করার’ আহ্বান জানিয়েছে।


এই বিভাগের আরো খবর