সর্বশেষ :
পাইকগাছায় বেগম রোকেয়া দিবসে ৫ নারীকে অদম্য নারী সম্মাননা প্রদান  পাইকগাছায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাখি শিকারের উৎসব; অভিনব পদ্ধতিতে ফাঁদ পেতে বিলুপ্তির পথে অতিথি পাখি—প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি এলাকাবাসীর ফকিরহাটে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সুদানে মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে আরএসএফ, ফের ধর্ষণের শিকার ১৯ নারী থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘর্ষে নিহত অন্তত ৫, এলাকা ছাড়ছে হাজারো মানুষ কোনো বাধা আমাদের থামাতে পারবে না: আসাদের পতনের বার্ষিকীতে আল-শারা কেন ইন্ডিগোর হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে? ভারতের গোয়া নাইটক্লাব অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৫ জনের মধ্যে নেপালি ৪ জন যুদ্ধবিমানে রাডার লক ঘটনায় চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করলো জাপান পেরুর দুর্নীতি বিষয়ক সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা
মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩০ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

বাগেরহাটে ভুয়া কাগজ পত্রের মাধ্যমে নামজারী:বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মৎস্য খামার দখলের চেষ্টার অভিযোগ

প্রতিনিধি: / ৫ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের চিতলমারিতে ভুয়া কাগজ পত্রের মাধ্যমে নামজারী করে বসতবাড়ি,
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মৎস্য খামার দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আশিষ কুমার
হালদারের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে ২ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশিষ্ঠ দপ্তরে লিখিত
অভিযোগ দায়ের করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত
ব্যবস্থা গ্রহণ ও তাঁর জমির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্ত
ভোগী চিতলমারী সন্তোষপুর গ্রামের মঞ্জুর হোসেন শিকদার।
তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, চিতলমারী সন্তোষপুর গ্রামের গনেশ চন্দ্র
হালদার ও তার চার ছেলে আশিষ কুমার হালদার, বিকাশ হালদার, সুভাষ হালদার ও
দিবস হালদার ওরফে রাজা হালদার দীর্ঘদিন ধরে তাঁর মালিকানাধীন জমি দখলের
চেষ্টা করে আসছে।
আমি গত ২৭ ফেব্রæয়ারী ৯৫ সালে বাগেরহাট সাবজজ ২য় আদালতে চুক্তি প্রবল
বাবদ দেওয়ানী- ৪৫/৯৬নং মামলা দায়ের করি। আদালত ৩-৮ বিবাদীপক্ষের বিরুদ্ধে
দোতরফাসূত্রে ডিক্রী আদেশ প্রদান করেন। উক্ত মামলার প্রতিপক্ষ গন রায়ের
বিপক্ষে জমির মালিকানা দাবি করে উচ্চ আদালতে ৪৬৪/২০০০ দেওয়ানি আপিল দায়ের
করে রায় প্রাপ্ত হন।
উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে আমি মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে সিভিল পিটিশন-
২০১৮/২০২৪ নং মোকদ্দমা দায়ের করি এবং উক্ত মোকদ্দমা চলামান আছে।
এমতাবস্থায় পক্ষভুক্ত বিবাদী এস্কেন্দার মোড়ল গং উক্ত জমির নামপত্তন এর
আবেদন করে। আমি আপত্তি দিলে মিস-২০১/০৯-১০নং নামপত্তন মামলা খারিজ হয়।
পুনরায় জনৈক সুরাইয়া ইয়াসমিন নামপত্তন এর  জন্য মিস- ৪১/১৬-১৭ নং মামলা
করিলে আমার আপত্তির কারণে উহাও খারিজ হয়। উক্ত গনেশ চন্দ্র হালদার এর ৪
পুত্র আশিস কুমার হালদার, বিকাশ কুমার হালদার, দেবাশীষ হালদার ও রাজা
হালদার সুদীর্ঘকাল এদেশে না থাকায়।
আশিস কুমার হালদার তাহার পিতা প্রদত্ত চুক্তিপত্রে ১নং সাক্ষী হিসাবে
স্বাক্ষর করা সহ দখল হস্তান্তরের সময় সরেজমিনে থাকা সত্বেও সহকারী
কমিশনার ভূমি চিতলমারী এবং চর বানিয়ারী তহশীল অফিস সন্তোষপুরের
তহশীলদারদের সঙ্গে অবৈধ যোগাযোগে কোনরূপ তদন্ত ছাড়া এবং জমি নিয়ে সুপ্রিম
কোর্টে মামলা চলার বিষয় জানা সত্বেও গোপনে গনেশ চন্দ্র হালদারের নামীয়
বিআরএস ৩২৩নং খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত আমার ২,০৯ একর সম্পত্তি সহ সম্যক ৪.১৮
একর সম্পত্তি একমাত্র আশিস কুমার হালদার নিজ নামে নামপত্তন করাইয়া নেয়,
যাহা জাল জালিয়াতির নামান্তর। আমার সুদীর্ঘকালীন ভোগ দখলীয় বাস্তু‘ জমি,
ব্যবসাস্থল, মৎস্যঘের সহ দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক ভোগদখলকে উপেক্ষা করিয়া
কোনরূপ আইন কানুনের তোয়াক্কা না করিয়া জাল জালিয়াতিপূর্ণ কাগজের দ্বারা
নামপত্তন করানোয় আমার অপূরণীয় ক্ষতি হইয়াছে। উক্ত নামপত্তন দ্বারা
উল্লেখিত আশিস কুমার হালদার সম্পত্তি বিক্রয় শুরু করিয়াছে, যাহা আইন ও
আদালতের প্রতি বৃদ্ধ্ঙ্গুলি প্রদশনের শামিল ।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ প্রতিপক্ষ সুবোল হালদারের চার ছেলে থাকা সত্বেও আশিষ
কুমারের নামে এককভাবে নামজারি করে জমি কেনাবেচার মাধ্যমে এলাকায়
হিন্দু–মুসলিম বিভেদ সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছে, যা নিয়ে আমি পরিবার
পরিজন নিয়ে বেশ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা অজিত বালা বলেন, “আমরা জানি, এই জমি গনেশ হালদার বহু
আগেই মঞ্জুর শিকদারকে লিখে দিয়েছেন। আমি নিজ চোখে ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে
দেখছিওরা এখানে ঘর বাডি করে বসবাস  করে আসছে।
আরেক স্থানীয় শিশির হালদার বলেন,গনেশ হালদারের জমি মঞ্জুর শিকদার বহু
আগেই কিনেছেন। সেই সময় থেকেই তারা এখানে ভোগ–দখল করছেন। ঘের করেছেন, গাছ
লাগিয়েছেন, তাদের সন্তানরাও এখানে জন্মগ্রহণ করেছে। চিতলমারী উপজেলার ৭
নং সন্তোষ পুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নিরমল মন্ডল জানান, মঞ্জুর
শিকদারকে আমি ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে চিনি। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ এবং
দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতে বৈধভাবে বসবাস করছেন। আমার জানা মতে, তিনি
সঠিকভাবেই জমির ভোগ–দখল করছেন।


এই বিভাগের আরো খবর