সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২৬ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

৩ লাখ ৫০ হাজার লিটার চোরাই জ্বালানিসহ জাহাজ আটক করল ইরান

প্রতিনিধি: / ৩৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫

আনন্তর্জাতিক ডেস্ক : পারস্য উপসাগরে জ্বালানি পাচার ঠেকাতে অভিযান চালিয়ে একটি জাহাজ আটক করেছে ইরান। এসওয়াতিনির পতাকাবাহী এই জাহাজে ৩ লাখ ৫০ হাজার লিটার চোরাই গ্যাসয়েল পাওয়া গেছে। চোরাই জ্বালানি বহনকারী এই জাহাজটিতে ১৪ নাবিক রয়েছেন এবং তাদের ১৩ জনই ভারতীয় নাগরিক। ইরান এসওয়াতিনির পতাকাবাহী একটি জাহাজ আটক করেছে এবং সেখান থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার লিটার চোরাই জ্বালানি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দেশটির আধা-সরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম জানিয়েছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নৌবাহিনীর এক কমান্ডার বলেন, ‘গ্যাসয়েল আকারে চোরাই জ্বালানি বহনকারী একটি জাহাজ আটক করা হয়েছে। জাহাজটিতে এসওয়াতিনির (সোয়াজিল্যান্ড) পতাকা রয়েছে। আদালতের নির্দেশে জাহাজটিকে বুশেহরের উপকূলে আনা হয়েছে এবং এটি আনলোড করা হবে।’ তিনি আরও জানান, জাহাজটিতে মোট ১৪ জন ক্রু সদস্য রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১৩ জনই ভারতীয় নাবিক। এছাড়া বাকি একজন প্রতিবেশী দেশের নাগরিক। রয়টার্স বলছে, জ্বালানিতে ভর্তুকি বেশি থাকায় ইরানে জ্বালানির দাম বিশ্বে অন্যতম সর্বনিম্ন। যে কারণে দেশটিতে প্রায়ই জ্বালানি চোরাচালানের ঘটনা ঘটে। এছাড়া মুদ্রার দরপতনের কারণেও ইরান দীর্ঘদিন ধরেই জ্বালানি চোরাচালানের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আর তাই ইরানি কর্তৃপক্ষ প্রায়ই অবৈধভাবে জ্বালানি পরিবহনকারী জাহাজ আটক করার ঘোষণাও দিয়ে থাকে। মূলত স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ও সমুদ্রপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে জ্বালানি পাচারই এই চোরাচালানের প্রধান লক্ষ্য। এর আগে জ্বালানি চোরাচালানের অভিযোগে গত আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে নিজেদের আঞ্চলিক পানিসীমা থেকে বিদেশি একটি ট্যাঙ্কার জব্দ করেছিল ইরানের সামরিক বাহিনী। একইসঙ্গে ওই ট্যাঙ্কারের ১৭ নাবিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জব্দকৃত সেই ট্যাঙ্কারে ২০ লাখ লিটারেরও বেশি চোরাই জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল। তার আগে গত জুলাই মাসেও ওমান সাগরে জ্বালানি চোরাচালান কাজে জড়িত সন্দেহে বিদেশি একটি ট্যাঙ্কার জব্দ করেছিল ইরানি কর্তৃপক্ষ। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, জব্দকৃত সেই ট্যাঙ্কারটিতে প্রায় ২০ লাখ লিটার জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল।


এই বিভাগের আরো খবর