সর্বশেষ :
ফলোআপ: পাইকগাছায় কোটিপতির ভবন রক্ষায় সড়ক সরলীকরণ না হয়ে হচ্ছে বাঁকা: নকশা পরিবর্তন ও মাদ্রাসা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন পাইকগাছায় আমন ধানের ফলন ভাল হলেও ধানের মূল্য কম হওয়ায় কৃষক হতাশ ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয় ভাংচুর করে নথিতে আগুন দিলো বিক্ষুদ্ধ জনতা হাদি হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার শাহবাগ অবরোধ চট্টগ্রামে রাতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে হামলা, আটক ৮ ছায়ানটের ভেতরে পোড়া বই আর ভাঙা বাদ্যযন্ত্র, বাইরে কড়া পুলিশ পাহারা আজ সন্ধ্যায় দেশে আসবে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ, জানাজা শনিবার জব্দ রুশ সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ নেতারা লুকানো কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়াচ্ছে ইউক্রেন
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২২ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সার্বিয়ার একমাত্র তেল শোধনাগার বন্ধের ঝুঁকিতে

প্রতিনিধি: / ২৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

বিদেশ : সার্বিয়ার একমাত্র তেল শোধনাগার রাশিয়ার মালিকানার হওয়ায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকেই কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন সার্বিয়ার কর্মকর্তারা। বেলগ্রেড থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে গত মাস থেকে সার্বিয়ার পেট্রোলিয়াম ইন্ডাস্ট্রি (এনআইএস) ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে। ফলে, আসন্ন জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় বেলগ্রেড সমাধান খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে। সার্বিয়ার জ্বালানি মন্ত্রী দুব্রাভকা জেদোভিচ হানদানোভিচ গত মাসের শেষের দিকে বলেছিলেন, পানচেভো তেল শোধনাগার ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত কোনো বাধা ছাড়াই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবে। সার্বিয়ার সরকার জানিয়েছে, তারা শোধনাগার বন্ধের প্রস্তুতি হিসেবে জ্বালানি মজুদ করেছে এবং ডিসেম্বরের জন্য নতুন আমদানি চুক্তি করেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, কেবল আমদানি দিয়ে এনআইএস-কে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। বেলগ্রেড-ভিত্তিক অর্থনীতিবিদ গোরান রাদোসাভলজেভিচ বলেন, এনআইএস-এর উৎপাদন মোট চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ পূরণ করতো। আর আমদানি ছিল প্রায় ২০ শতাংশ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এত বড় অংশ আমদানির মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা কঠিন হবে। অতিরিক্ত আমদানির মাধ্যমে কয়েক মাসের জন্য চাহিদা পূরণ করা যেতে পারে। কিন্তু, এনআইএস যদি আর কার্যক্রম চালাতে না পারে, তাহলে দেউলিয়া হয়ে যাবে। সার্বিয়া ২০০৮ সালে এনআইএস-এর ৫১ শতাংশ শেয়ার গ্যাজপ্রম ও গ্যাজপ্রম নেফটকে ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর (৪৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বিনিময়ে বিক্রি করে, যা একটি বৃহত্তর চুক্তির অংশ ছিল। আর সার্বিয়া রাষ্ট্র এনআইএস-এর প্রায় ৩০ শতাংশ শেয়ার ধরে রেখেছে এবং বাকি অংশ সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের হাতে রয়েছে। সার্বিয়ার কর্মকর্তারা বারবার সতর্ক করেছেন, এনআইএস-এর জন্য একটি সমাধান খুঁজে বের করতে হবে এবং বিকল্প না থাকলে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণের সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে।


এই বিভাগের আরো খবর