সর্বশেষ :
ফলোআপ: পাইকগাছায় কোটিপতির ভবন রক্ষায় সড়ক সরলীকরণ না হয়ে হচ্ছে বাঁকা: নকশা পরিবর্তন ও মাদ্রাসা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন পাইকগাছায় আমন ধানের ফলন ভাল হলেও ধানের মূল্য কম হওয়ায় কৃষক হতাশ ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয় ভাংচুর করে নথিতে আগুন দিলো বিক্ষুদ্ধ জনতা হাদি হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার শাহবাগ অবরোধ চট্টগ্রামে রাতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে হামলা, আটক ৮ ছায়ানটের ভেতরে পোড়া বই আর ভাঙা বাদ্যযন্ত্র, বাইরে কড়া পুলিশ পাহারা আজ সন্ধ্যায় দেশে আসবে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ, জানাজা শনিবার জব্দ রুশ সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ নেতারা লুকানো কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়াচ্ছে ইউক্রেন
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

তেহরানের খেলনা জাদুঘর : শৈশব স্মৃতির জীবন্ত ভুবন

প্রতিনিধি: / ৮৪ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫

বিদেশ : ইরানের রাজধানী তেহরানের কেন্দ্রস্থলে পুরোনো এক বাড়ি। ভেতরে পা রাখলেই মনে হবে সময় যেন পিছিয়ে গেছে। দেয়ালে রঙিন দেয়ালচিত্র, কাচের বাঙ্ েসাজানো কাঠের পুতুল, মাটির পশু, টিনের গাড়ি আর আটারির মত পুরোনো ভিডিও গেম-সবকিছু মিলিয়ে এ যেন জাদুকরী সময়ভ্রমণ। প্রাচীন পারস্য থেকে শুরু করে সোভিয়েত রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র; নানা দেশ ও কালের খেলনা স্থান পেয়েছে এক ছাদের নিচে। এই অনন্য খেলনা জাদুঘরটি বড়-ছোট সব দর্শনার্থীকে ফিরিয়ে নিচ্ছে শৈশবের স্মৃতিময় দিনে। জাদুঘরটির প্রতিষ্ঠাতা ৪৬ বছর বয়সী আজাদেহ বায়াত। তিনি এএফপিকে বলেন, আমি সবসময়ই জাদুঘরটিকে শিশু ও কিশোরদের জন্য আকর্ষণীয় করার কথা ভেবেছি। কিন্তু এখন দেখছি বড়রাও নিয়মিতি এখানে আসছেন। ছয় বছর সংস্কারের পর গত বছর এই জাদুঘরটি চালু করেন তিনি। শিশুশিক্ষা গবেষক বায়াত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করেছেন দুই হাজারেরও বেশি খেলনা। তার ভাষায়, ‘যখন শিশুরা তাদের বাবা-মা বা দাদু-নানুর সময়ের খেলনা দেখতে পায়, তখন তারা নিজেদের যুগের সঙ্গে পুরোনো প্রজন্মের সংযোগটা আরও ভালোভাবে বুঝতে শেখে।’ জাদুঘরের এক কোণায় কাচের বাঙ্ েনিঃসঙ্গ পড়ে আছে প্রাচীন পারস্যের মাটির তৈরি এক পশুমূর্তি। এটি নীরবে সাক্ষ্য দিচ্ছে খেলনার হাজার বছরের বিবর্তনের। পাশেই তাকজুড়ে সারি সারি সাজানো কাঠের ‘ম্যাট্রিয়োশকা’ পুতুল; গাল লাল, পরনে ঐতিহ্যবাহী রুশ পোশাক। এই পুতুল মূলত রুশ সংস্কৃতির প্রতীক। তাকের অপর পাশে ঝলমল করছে উজ্জ্বল রঙে আঁকা সোভিয়েত আমলের টিনের খেলনা গাড়ি। এক কোণে রাখা ১৯৮০-এর দশকের জনপ্রিয় ভিডিও গেম কনসোল ‘আটারি’। এছাড়া, রয়েছে আমেরিকান ‘বার্বি’ পুতুল, যেগুলো পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে একসময় ইরানে নিষিদ্ধ ছিল। তবে বার্বির জনপ্রিয়তা দেখে ২০০০ সালের শুরুর দিকে ইরানি কর্তৃপক্ষও ‘সারা’ ও ‘দারা’ নামে দেশীয় সংস্করণের পুতুল বাজারে আনে। তবে অবশ্য সেগুলো পর্দাসম্মত পোশাকে তৈরি করা হয়। স্বর্ণের দোকানে কর্মচারী ২৭ বছর বয়সী মাইদেহ মির্জায়ি জাদুঘরে এসে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, একসময় সারা ও দারা পুতুল নিয়ে এত প্রচারণা ছিল যে তাদের ছবি বই থেকে শুরু করে খাতার মলাটেও দেখা যেত। অন্যপাশে জাদুঘরের এক কর্মী স্কুল শিক্ষার্থীদের পাপেট চালনার কৌশল দেখাচ্ছিলেন। এসব পুতুল স্থানীয়ভাবে ‘আলি ভারজে’ বা ‘আলি দ্য জাম্পার’ নামে পরিচিত। লাঠি বা সুতা টানলেই পুতুলটি নড়াচড়া করে। সমপ্রতি এই জাদুঘরে জনপ্রিয় বেলজিয়ান চরিত্র ‘টিনটিন’ থিমে একটি অনুষ্ঠান এবং ছায়ানাট্য প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। ৩১ বছর বয়সী শরীরচর্চা প্রশিক্ষক মেহদি ফাতেহ বলেন, ‘এই খেলনাগুলো দিয়ে ছোটবেলায় বন্ধুরা মিলে রাস্তা কিংবা বাড়িতে কত খেলতাম! এগুলো দেখে সেসব মনে পড়ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকের শিশুরা হয়তো ভাববে, আমাদের পুতুলগুলো ছিল সাদামাটা ও পুরোনো ধাঁচের। কিন্তু সেই খেলনাগুলোর সঙ্গেই আমরা বেড়ে উঠেছিলাম।’


এই বিভাগের আরো খবর