ফকিরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের চিতলমারীতে সিলগালাকৃত ক্লিনিকে গোপনে এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিভিন্ন টেলিভিশন ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। গেল ১০ অক্টোবর দৈনিক সময়ের খবর পত্রিকায় সিলগালা ক্লিনিকে ডা. মারুফার গোপন অপারেশন, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন রোগী শিরোনাম খবর প্রকাশিত হলে খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) টেলিফোনিক নির্দেশে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ডাক্তার মারুফা নাসরিন।
গত ৭ অক্টোবর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মারুফা নাসরিন সিলগালাকৃত ক্লিনিকে মুর্শিদা বেগম নামে এক প্রসূতির সিজার অপারেশন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। অপারেশনের পর তার অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়, যেখানে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
ঘটনার পর খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর নির্দেশে ডেপুটি সিভিল সার্জন বাগেরহাট কে প্রদান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শর্মি রায় বলেন, আমি কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি তাই কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিনি।
উল্লেখ্য,বাগেরহাটের চিতলমারীতে সিলগালা থাকা সত্ত্বেও মিম সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অবৈধ ভাবে সিজার অপারেশন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিউটিরত দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. মারুফা নাসরিন।
বর্তমানে অপারেশনে গুরুতর আহত রোগী মুর্শিদা বেগম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মুর্শিদাকে খুলনা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু দালালের মাধ্যমে ডা. মারুফা তাঁকে নিয়ে যান সিলগালা করা মিম সার্জিকাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এবং সেখানে সিজার অপারেশন করেন। অপারেশনের একপর্যায়ে রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান ওই চিকিৎসক।
বাগেরহাট সিভিল সার্জন ডাক্তার আ. স.মোঃ মাহাবুল আলম বলেন চিতলমারী মিম সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক দীর্ঘদিন যাবত চিল গেল করে রাখা হয়েছে সেখানে কোন চিকিৎসা কার্যক্রম চালানোর অনুমতি নেই, অপারেশন তো দূরের কথা। এই ঘটনায় সিভিল সার্জন প্রদান করে তিন সদস্য পৃষ্ঠা একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটি আগামী দশ কর্ম দিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন,সিভিল সার্জন সাহেবের সাথে কথা বলেছি,তদন্ত কমিটি গঠনসহ জরুরি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছি।