সর্বশেষ :
মোরেলগঞ্জ শ্রমিক  দলের  সাধারণ সম্পাদকের  পিতার ইন্তেকাল কচুয়ায় ১৭ বছর পরে যুব দলের মিছিল-সমাবেশ সাংবাদিকদের পারিশ্রমিক নিয়ে উপ-প্রেস সচিবের দীর্ঘ বার্তা ব্যানার টানানো নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত ৮ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আনসার ব্যাটালিয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরলেও নির্বাচন এ সরকারের অধীনেই: শিশির মনির বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণে মারাত্মক ঝুঁকিতে দেশের সবগুলো বিমানবন্দর মোরেলগঞ্জে সাড়ে ৩ কোটি টাকায় নির্মিত অত্যাধুনিক সাইক্লোন শেল্টারের উদ্বোধন (ফলোআপ):কুতুবদিয়ায় বাপ্পী হত্যা: ৯ জনের নামে মামলা মোরেলগঞ্জে সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে জার্মান সরকারের সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৬ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

‘প্লট দুর্নীতি’: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

প্রতিনিধি: / ৫১ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫

পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে পৃথক ছয় মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। দুর্নীতির দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক দায়ের করা এই মামলাগুলোতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন ১১ আগস্ট (সোমবার) তিন মামলার তিনজন বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এদিন দুপুর সোয়া একটার দিকে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

সাক্ষ্য দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং সহকারী পরিচালক এস.এম. রাশেদুল হাসান। এ তিন মামলাতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১২ থেকে ১৮ জনের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন তারা। সাক্ষীরা জানান, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা ও তার পরিবার অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দ নেন, যা ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির আওতায় পড়ে। প্লট পাওয়ার যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তারা এই সুবিধা গ্রহণ করেন এবং অন্য আসামিদের সহযোগিতায় নিজেদের লাভবান করেন।

মামলার সব আসামি পলাতক থাকায় তাদের আইনজীবীরা সাক্ষীদের জেরা করার সুযোগ পাননি। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৬ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছেন। ওই দিন আরও ১৫ জনকে সাক্ষ্য দিতে সমন পাঠানো হবে বলে দুদকের কৌঁসুলি মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ জানিয়েছেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও দেশের বাইরে রয়েছেন। গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে এবং জানুয়ারি মাসে পৃথক ছয়টি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাগুলোতে দুদক অভিযোগ করেছে, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা রাজউকের কাছে মিথ্যা হলফনামা দিয়ে দাবি করেছেন যে, তাদের ঢাকায় জমি-গাড়ি-বাসা নেই, অথচ দুদকের তদন্তে দেখা যায় তারা ঢাকায় বিভিন্ন সম্পত্তির মালিক।

এই মামলাগুলোতে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর বিভিন্ন ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন প্রভৃতির আওতায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা, তার সন্তানরা—রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক, এবং জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব, অতিরিক্ত সচিব, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ সরকারি কর্মকর্তারা।

মামলার পিপি খান মো. মইনুল হোসেন বলেন, রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী যারা ঢাকায় সম্পত্তির মালিক নয়, তারা প্রকল্পে প্লটের জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু শেখ পরিবারের পক্ষ থেকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে তারা এই প্লট নিয়েছেন, যা গুরুতর অপরাধ এবং সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

অপরদিকে, দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, পলাতক আসামিদের কারণে অভিযোগ পড়ে শোনানো সম্ভব হয়নি, কিন্তু মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়নি। এছাড়াও ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম ১৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) তিনটি মামলায় শেখ রেহানা পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।

অর্থাৎ, এই মামলা দুটি আলাদা আদালতে বিচারের মধ্যে রয়েছে এবং দুদকের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের বিরুদ্ধে।


এই বিভাগের আরো খবর