রাজধানীতে ৬তলা বাড়িতে থাকতেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। তবুও তিনি প্লট জালিয়াতি মামলায় জড়িয়ে পড়লেন। জানা গেছে, বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা হলফনামা দাখিল করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে প্লট নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, সদস্য (অর্থ) ও সদস্য (এস্টেট) আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, সদস্য (অর্থ) মো. আবু বক্কার সিকদার, সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, সদস্য (এস্টেট) আখতার হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুবুল আলম এবং সদস্য (প্রশাসন ও ভূমি) নাজমুল হাই।
সোমবার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানান।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, এ বি এম খায়রুল হক প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদাধিকারী পাবলিক সার্ভেন্ট হিসাবে দায়িত্বরত ও বহাল থাকা অবস্থায় নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ঢাকা শহরের ধানমন্ডির নায়েম রোডে ছয়তলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তিনি মিথ্যা তথ্যসংবলিত হলফনামা জমা দিয়ে পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরের ১০২ নম্বর রোডের ০০৪ নম্বর প্লটটি নিজ নামে রেজিস্ট্রিমূলক দখল করে নেন। পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থেকে আইনসম্মত না হওয়ার পরও জেনে শুনে আসামিরা যোগসাজশে নিজে এবং অন্যদের অবৈধভাবে লাভবান করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৬১/১৬৩/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এই দুর্নীতির ঘটনায় সাবেক প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি রাজউকের কর্মকর্তারা জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক।