মাগুরার শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ টানা চতুর্থ দিনের মতো সম্পন্ন হয় গতকাল বুধবার। এদিন সকাল ১০টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গতকাল বুধবার মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মাগুরা ও ফরিদপুর মেডিকেলের তিনজন চিকিৎসক। যারা শিশু আছিয়ার চিকিৎসা করেছিলেন। আগামী ৪ মে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে সবাই ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে মাগুরায় আনা হয় হিটু শেখসহ সব আসামিদের। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়। গত রোববার থেকে প্রতিদিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে আদালত থেকে পুলিশের একটি হেলমেট পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন, আমি নির্দোষ, আমার বেটার বউকে ধরেন, ওই সব করেছে। এমন অভিযোগ করতে করতে আদালত থেকে বের হয়ে যান হিটু শেখ। এই মামলায় চতুর্থদিনের মতো সাক্ষ্য দিয়েছেন মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান নাকিবা সুলতানা, জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জুলহাস ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, আদালতে তিনজন মেডিকেল এঙ্পার্ট সাক্ষ্য দিয়েছেন। জবানবন্দির পাশাপাশি তারা মেডিকেল সাটিফির্কেট দেখিয়েছেন। পরে আরও মেডিকেল এঙ্পার্ট রয়েছেন আশা করছি আগামী রোববার তারা আদালতে এসে সাক্ষ্য দেবেন। আমরা আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি হবে। রমজানের ছুটিতে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বোনের শ্বশুর হিটু শেখ মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণই করেননি, হত্যারও চেষ্টা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির মা। ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফদিরপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পাঠানো হয় ঢাকায়। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ মার্চ সে মারা যায়। এ মামলায় আদালতে পুলিশের দাখিল করা চার্জশিটে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া শিশুটির বোনের স্বামী সজীব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখকে ভয়ভীতি দেখানো এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিভুক্ত করা হয়েছে।