সর্বশেষ :
লক্ষ্ণীপুরে বিএনপি নেতার ঘরে তালা দিয়ে আগুন: ঘুমন্ত শিশু নিহত, দগ্ধ ৩ ধর্ম নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় হত্যা করে লাশ পোড়ানো, গ্রেপ্তার ৭ নিথর দেহে দেশে ফিরলেন ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় মানিক মিয়ায় ওসমান হাদির শেষ বিদায়, জানাজা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ওসমান হাদির মৃত্যুতে পালিত হচ্ছে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক অস্থির পরিস্থিতিতে শিল্পকলার সব আয়োজন বন্ধ ওসমান হাদির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, দুপুরে সংসদ ভবনে জানাজা লাঠি ভর দিয়ে চলা বৃদ্ধও আসামি:  মোরেলগঞ্জে হয়রানিমূলক মামলা  প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ  ও মানববন্ধন কুতুবদিয়ায় আলফা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মৃত্যুদাবি পরিশোধ বাগেরহাটে হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে  বিক্ষোভ
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২১ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র ব্যবহার করলে মামলা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

প্রতিনিধি: / ১১১ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গণমাধ্যমের ওপর কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেসব গণমাধ্যম বা লেখক ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’ সূত্র ব্যবহার করবে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। একই সঙ্গে তিনি নতুন আইন প্রণয়নের ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।

সম্প্রতি মার্কিন সাংবাদিক মাইকেল উলফের নতুন বই ‘অল অর নাথিং: হাউ ট্রাম্প রিক্যাপটেড আমেরিকা’ প্রকাশের পর ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। উলফের আগের বই ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি: ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউস’, যা ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল, ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। নতুন বইটিতে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনী প্রচারণার ১৮ মাসব্যাপী ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

উলফের বই প্রকাশের পর ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সোশ্যাল ট্রুথ-এ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি লিখেন, “নির্ভরযোগ্য সূত্রহীন, ‘অফ দ্য রেকর্ড’ উদ্ধৃতি ব্যবহার করে ভুয়া বই এবং গল্প প্রকাশ করা হচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উলফের বইকে “মানহানিকর কল্পকাহিনী” উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “এই নির্লজ্জ অসততার জন্য বড় মূল্য দিতে হবে। আমি এটা আমাদের দেশের সেবা হিসেবে করব। কে জানে, হয়তো আমরা কিছু সুন্দর নতুন আইন তৈরি করব।”

ট্রাম্প প্রশাসনের গণমাধ্যম নীতির পরিবর্তন ইতোমধ্যেই প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকের সংবাদ সংগ্রহে এপি, রয়টার্স ও ব্লুমবার্গসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়নি হোয়াইট হাউস। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, প্রশাসনের নতুন মিডিয়া কভারেজ নীতির অংশ হিসেবেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে এই কঠোর অবস্থান ট্রাম্পের সামগ্রিক রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নতুন এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


এই বিভাগের আরো খবর