বিদেশ : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন করে আলোচনার জন্য তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছে রাশিয়ার একটি প্রতিনিধি দল। এ নিয়ে চলতি মাসে দ্বিতীয়বারের মতো মস্কো ও ওয়াশিংটনের কূটনীতিকরা ব্যক্তিগতভাবে সংলাপে বসছেন। রুশ বার্তা সংস্থা তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রতিনিধি দল মার্কিন কনসাল জেনারেলের ইস্তাম্বুলের বাসভবনে গেছে। সেখানেই দূতাবাস সংক্রান্ত বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে বৈঠক হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক ডজন সাংবাদিক ইতিমধ্যে বাসভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন। আলোচনাটি ‘বন্ধ দরজার পিছনে’ অনুষ্ঠিত হবে। পক্ষগুলো তাদের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নামও জানায়নি। বৈঠকের আগে মস্কো ও ওয়াশিংটন দুই দফা প্রাথমিক কারিগরি আলোচনা করেছে। মস্কো আশা করছে, এই বৈঠকের মাধ্যমে স্পষ্ট হবে যে, দুই দেশের তাদের দূতাবাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষ ‘দ্রুত ও কার্যকরভাবে এগিয়ে যেতে কতটা সক্ষম’। এর আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বলেছিলেন, আমাদের কূটনীতিকরা, উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা তাদের (মার্কিন প্রতিনিধিদের) সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং রাশিয়ান দূতাবাসের কার্যক্রমে কৃত্রিম বাধা তৈরি করতে পূর্ববর্তী (মার্কিন) প্রশাসনের অবৈধ কার্যক্রমের ফলে সৃষ্ট পদ্ধতিগত সমস্যাগুলো পরীক্ষা করবেন। আলোচনায় দেখা যাবে পক্ষগুলো কত দ্রুত ও কার্যকরভাবে এগোতে পারে। এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ইস্তাম্বুলের একটি কড়া সুরক্ষিত কম্পাউন্ডে রঙিন জানালা এবং একটি কূটনৈতিক লাইসেন্স প্লেটযুক্ত মার্সিডিজ মিনিবাসের সংক্ষিপ্ত দুটেজ প্রকাশ করেছে। তিন বছর আগে ইউক্রেন সংঘাত বৃদ্ধির পর দুই দেশের মধ্যে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকটি সৌদি আরবের রিয়াদে হয়েছিল। এরপর তাদের আরেক প্রতিনিধি দল জড়ো হলেন তুসস্কে। এগের বৈঠকের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা এবং ইউক্রেন সংঘাত নিষ্পত্তির পথ প্রশস্ত করা। গত কয়েক বছর ধরে ইস্তাম্বুল ইউক্রেন সংঘাত সম্পর্কিত আলোচনার জন্য একটি নিরপেক্ষ স্থান হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে ২০২২ সালে মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে সরাসরি আলোচনা। রুশ কর্মকর্তাদের মতে, সে সময় শান্তি প্রক্রিয়া অগ্রগতি হচ্ছিল, কিন্তু তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউক্রেনকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যদিও তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।