সর্বশেষ :
লক্ষ্ণীপুরে বিএনপি নেতার ঘরে তালা দিয়ে আগুন: ঘুমন্ত শিশু নিহত, দগ্ধ ৩ ধর্ম নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় হত্যা করে লাশ পোড়ানো, গ্রেপ্তার ৭ নিথর দেহে দেশে ফিরলেন ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় মানিক মিয়ায় ওসমান হাদির শেষ বিদায়, জানাজা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ওসমান হাদির মৃত্যুতে পালিত হচ্ছে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক অস্থির পরিস্থিতিতে শিল্পকলার সব আয়োজন বন্ধ ওসমান হাদির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, দুপুরে সংসদ ভবনে জানাজা লাঠি ভর দিয়ে চলা বৃদ্ধও আসামি:  মোরেলগঞ্জে হয়রানিমূলক মামলা  প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ  ও মানববন্ধন কুতুবদিয়ায় আলফা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মৃত্যুদাবি পরিশোধ বাগেরহাটে হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে  বিক্ষোভ
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছর কতটা বদলেছে ইউক্রেন?

প্রতিনিধি: / ৯৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে, মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা সৌদি আরবে শান্তি আলোচনার জন্য বৈঠক করেছেন। অবশ্য সেখানে কিয়েভের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা এই নতুন মার্কিন কৌশলে বিস্মিত এবং দ্রুত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। রাশিয়া তার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর তিন বছরে ইউক্রেন বিশাল অংশের ভূখণ্ড হারিয়েছে। যদিও পশ্চিমা সামরিক সহায়তার ফলে কিছু অঞ্চল পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। লক্ষাধিক ইউক্রেনীয় বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং হাজারো মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে। চারটি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ইউক্রেনের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হলো-

২০২২ সাল থেকে ১১% ভূখণ্ড হারিয়েছে ইউক্রেন
যুদ্ধের শুরুতে ইউক্রেন তার রাজধানী কিয়েভ রক্ষায় মনোযোগ দেয়। পরে উত্তর-পূর্ব খারকিভ ও দক্ষিণ খেরসন অঞ্চলে সাফল্য পায়। তবে ডোনেৎস্ক ও বাখমুতের আশেপাশের পূর্বাঞ্চলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংঘাত পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্সটিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ারের তথ্য বিশ্লেষণ করে সিএনএন জানিয়েছে, ২০২২ সালের আগ্রাসনের পর থেকে ইউক্রেন তার ১১% ভূখণ্ড হারিয়েছে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন চালানোর সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আশা করেছিলেন, কয়েক দিনের মধ্যে পুরো ইউক্রেন দখল করা সম্ভব হবে। কিন্তু ইউক্রেনের প্রতিরোধ ও পশ্চিমা মিত্রদের সহায়তায় তিন বছর ধরে তীব্র যুদ্ধ চলছে।

হুমকির মুখে ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় সহায়তার উৎস
২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রই ছিল ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় অর্থায়নকারী দেশ। দেশটি ৯৫ বিলিয়ন ডলার সামরিক, মানবিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে, যা এখন ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে হুমকির মুখে পড়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন কতটুকু সহায়তা অব্যাহত রাখবে, তাও এখন অনিশ্চিত। ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারে বারবার ইউক্রেনে মার্কিন অর্থ ব্যয়ের সমালোচনা করেছেন। সম্প্রতি এক ধরনের লেনদেনভিত্তিক কৌশল গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদের বিনিময়ে সহায়তা দেওয়ার কথা বলছেন। অবশ্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক ইউএসএআইডির সহায়তা স্থগিতের ফলে ইউক্রেন ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। ইউক্রেনের এনজিও ও দাতব্য সংস্থাগুলো কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছে, আত্মহত্যা প্রতিরোধ হেল্পলাইন ও এইচআইভি শনাক্তকরণ প্রকল্প সাময়িকভাবে বন্ধ করতে হয়েছে। কারণ গত তিন বছরে ইউক্রেন ইউএসএআইডির সবচেয়ে বড় অনুদান গ্রহণকারী দেশ ছিল।

লাখ লাখ ইউক্রেনীয় বাস্তুচ্যুত হয়েছে
২০২৪ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন দখল অভিযান শুরু করার পর থেকে এবং পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের ফলে লক্ষ লক্ষ ইউক্রেনীয় তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ইউক্রেনে আনুমানিক ৩.৭ মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেই সঙ্গে ৬.৯ মিলিয়ন ইউক্রেনীয় শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী বিদেশে অবস্থান করছে। এর মধ্যে জার্মানিতে ১.২ মিলিয়ন, পোল্যান্ডে প্রায় ১ মিলিয়ন এবং চেক প্রজাতন্ত্রে ৩ লাখ ৯০ হাজার মানুষ বসবাস করছেন। ২০২৪ সালের জুন মাসে জাতিসংঘের অনুমান অনুযায়ী, ১.২ মিলিয়ন ইউক্রেনীয় শরণার্থী রাশিয়ার ফেডারেশনে বসবাস করছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪০% কমেছে। তবে অন্য দেশে আশ্রয় নেওয়া ইউক্রেনীয়দের সংখ্যা প্রায় ১৯% বৃদ্ধি পেয়েছে।

নিহত হয়েছে হাজারো বেসামরিক নাগরিক
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার তথ্যমতে, ৪২ হাজার বেসামরিক নাগরিক আহত ও নিহত হয়েছে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ১২ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৬,২০৩ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং ৬৬৯ জন শিশু। আহত হয়েছেন ২৯ হাজারের বেশি মানুষ। বেশিরভাগ হতাহতের কারণ বিস্ফোরক অস্ত্রের হামলা।


এই বিভাগের আরো খবর