সর্বশেষ :
বাগেরহাট প্রেসক্লাব নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা ও যাচাই বাছাই সম্পন্ন  বাগেরহাটে বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ  মোংলায় ইজিবাইকের ধাক্কায় নিহত-১, গাড়ি ও চালক আটক মোরেলগঞ্জে হত্যার হুমকীতে দিনমজুরের আত্মহত্যা? বাধালে কোটি টাকার কাঁচা-পাকা সুপারি বাণিজ্যের পেছনে অচেনা শ্রমিকদের কান্না-হাসি কপিলমুনিতে ঝুলন্ত অবস্থায় বিধবা নারীর মরদেহ উদ্ধার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে মোরেলগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ চীনের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করলো ভারত ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাইবার হামলা ইউক্রেনের ৯০টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

লিবিয়ায় ২৯ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার

প্রতিনিধি: / ২০৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বিদেশ : উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় কমপক্ষে ২৯ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব ও পশ্চিমে দুটি স্থান থেকে এসব মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর রয়টার্সের। বৃহস্পতিবার নিরাপত্তাবিষয়ক একটি অধিদপ্তর ও লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট এ তথ্য জানিয়েছে। লিবিয়ার আলওয়াহাত জেলা নিরাপত্তা অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজি থেকে প্রায় ৪৪১ কিলোমিটার দূরে জিখারা এলাকার একটি খামারের মধ্যে গণকবরে ১৯টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। নিহত অভিবাসীদের মৃত্যু চোরাচালান কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত বলেও জানানো হয়েছে। লিবীয় এই অধিদপ্তর মরদেহ উদ্ধারের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছে এবং সেখানে পুলিশ অফিসার ও জালু রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের মৃতদেহগুলোকে কালো প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখতে দেখা যায়। পৃথকভাবে, লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, তাদের স্বেচ্ছাসেবকরা রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে জাউইয়া শহরের দিলা বন্দর থেকে নৌকা ডুবে যাওয়ার পর ১০ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। রেড ক্রিসেন্টও ছবি পোস্ট করেছে যেখানে স্বেচ্ছাসেবকদের ডকসাইডে সাদা প্লাস্টিকের ব্যাগে মৃতদেহ রাখতে দেখা যাচ্ছে। আলওয়াহাত জেলা নিরাপত্তা অধিদপ্তর বলেছে, ‘খামারে মোট তিনটি কবরে মৃতদেহ পাওয়া গেছে, এর মধ্যে একটিতে একজনের মৃতদেহ, দ্বিতীয় কবরে চারজনের মৃতদেহ এবং অবশিষ্ট কবরে ১৪টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করার জন্য মৃতদেহগুলোকে ফরেনসিক ডাক্তারের কাছে রেফার করা হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসের শেষে আলওয়াহাত অপরাধ তদন্ত বিভাগ বলেছিল, সাব-সাহারান আফ্রিকান বিভিন্ন জাতীয়তার ২৬৩ অভিবাসীকে মুক্ত করেছে তারা। এসব অভিবাসী ‘অত্যন্ত খারাপ মানব ও স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতিতে একটি চোরাচালান চক্রের হাতে আটক ছিল।’ উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সামরিক জোট ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর থেকে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করা হয়। আর এরপর থেকেই আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে যুদ্ধ এবং দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা লোকদের অভিবাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে লিবিয়া। মূলত উন্নত জীবনের আশায় মরুভূমি এবং ভূমধ্যসাগর জুড়ে বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করে অভিবাসীরা। কিন্তু সাহারা মরুভূমিসহ বিপজ্জনক এই রুট পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকেই মারা যায়।


এই বিভাগের আরো খবর