শ্রমিকদের ওপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে বরিশালের পদ্মা ব্লোয়িং লিমিটেডের ৮ জন কর্মকর্তাকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ রাখে প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা। হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে তাদের।
শ্রমিকদের ভাষ্য, হামলার ঘটনায় কোম্পানির মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। তারা বলেন, আমাদের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, আমরা তাদের বিচার চাই।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কারখানার মূল ফটকে পদ্মা ব্লোয়িং লিমিটেড শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জসিম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক নয়নসহ ৪-৫ জনের ওপর হামলা চালায় বহিরাগতরা। আহতদের উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বেল্লাল হোসেন বলেন, আমরা সম্প্রতি শ্রমিক ইউনিয়নের নিবন্ধন পেয়েছি, যা মালিকপক্ষ মেনে নিতে পারছেন না। এ কারণেই তারা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। হামলায় ৪-৫ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। যতক্ষণ না সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হবে, আমাদের আন্দোলন চলবে।
আরেক আন্দোলনকারী সোহাগ বলেন, আমরা ৭-৮ জন কর্মকর্তাকে আটকে রেখেছি। তারা হামলাকারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত এবং একসঙ্গে খেত। সন্ত্রাসীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদেরও মুক্তি দেওয়া হবে না।
অবরুদ্ধ কর্মকর্তাদের একজন ইকবাল হোসেন বলেন, শিফট পরিবর্তনের পর বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের ডিউটি শুরু হয়। শুনেছি গেটের বাইরে শ্রমিকদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এরপর থেকেই আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি।
আরেক কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা শুধু নিয়মিত ডিউটি পালন করতে এসেছি। তারপর থেকে আমাদের আটকে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে শ্রমিকদের দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। একটি পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”