বিদেশ : আজও বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত শহরের তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মিয়ানমারের চাউক। তাপমাত্রা বিষয়ক ওয়েবসাইট এলডোরাডো ওয়েদার ডটকমের তথ্যমতে, বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই তাপমাত্রা ছিল নাইজারের টিলাবেরি শহরে। তবে সেটিকে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রেখেছে এলডোরাডো ওয়েদার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে আফ্রিকার আরেক দেশ চাদের ন’জামেনা শহর। সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চতুর্থ স্থানে থাকা সেনেগালের মাতাম শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পঞ্চম স্থানে নাইজারের বির্নি-এন’কনি শহর, যার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের ছোর শহর। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখা গেছে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সপ্তম, অষ্টম, নবম স্থানে থাকা শহরগুলোতেও। এসব স্থানে রয়েছে যথাক্রমে নাইজারের গৌরে, সেনেগালের লিঙ্গুর এবং একই দেশের পোডর শহর। দশম স্থানে রয়েছে মৌরিতানিয়ার আকজুজত শহর। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেখা যাচ্ছে, গত মঙ্গলবারের মতো আজও বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত ১০ শহরের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের একটিও নেই। তবে গত মঙ্গলবারের তুলনায় গতকাল বুধবার আফ্রিকা মহাদেশের আধিপত্য লক্ষ্য করা গেছে। অর্থাৎ, গত মঙ্গলবারের তুলনায় গতকাল বুধবার আফ্রিকার শহরগুলোতে গরম বেশি পড়েছে। উল্লেখ্য, আবহাওয়ার এসব তথ্য ওজিমেট ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করেছে এলডোরোডো ওয়েদার ডটকম। ওজিমেট মূলত অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্য ব্যবহার করে, যার বেশিরভাগই নেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ন্যশনাল ওসিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) থেকে। এসব তথ্য ভুল-ভ্রান্তির ঊর্ধ্বে নয় বলে ওজিমেটের ওয়েবসাইটে উল্লেখ রয়েছে।