বিনোদন: মঙ্গলবার দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোন্ডার জন্মদিন। এই মুহূর্তে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত নাম হলেও ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ১০ হাজার টাকা রোজগারের জন্যেও হন্যে হয়ে কাজ খুঁজেছেন এই অভিনেতা। সামান্য টাকার বিনিময়েও রাজি হয়ে যেতেন যেকোনো চরিত্রে কাজ করতে। ২০১১ সালে রম-কম ছবি ‘নুভভিলা’ হাত ধরে অভিনয় জীবনে পা রাখেন বিজয় দেবেরাকোন্ডা। ২০১৫ সালে অভিনেতা নানির সঙ্গে এবং ইয়েভেদে সুব্রহ্মণ্যমের সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০১৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী ছবি পেল্লি চোপুলুতে অভিনয় করেন। তবে বিজয় জনপ্রিয়তা পান ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া সন্দীপ রেড্ডির ‘ভাঙ্গার’ ছবিতে অর্জুন রেড্ডির চরিত্রে। এই ছবিই তাঁকে দক্ষিণের পরিচিত নাম করে তোলে। বিজয় দেবেরাকোন্ডাকে শেষবার দেখা গেছে ‘লাইগার’ ছবিতে। পুরী জগন্নাথ পরিচালিত এ ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পা-ে। ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিলো। আগামীতে তাকে দেখা যাবে সামান্থা রুথ প্রভুর বিপরীতে ‘কুশি’ ছবিতে। ছবিটি পরিচালনা করছেন শিব নির্বাণ। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অভিনেতা হিসেবে নিজের পরিচিতি তৈরি করার থেকেও বিজয়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো টাকা রোজগার। কারণ সে সময় তার অর্থের প্রয়োজন ছিলো। ২০১৯-এ ফিল্ম কম্প্যানিয়নকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিজয় দেবেরাকোন্ডা। সেখানেই তিনি বলেন, ‘অতীতে আমি অর্থের জন্য অনেক কিছু করেছি। এমন বহু সিনেমা যেগুলি আমি অর্থের জন্যই করেছি। সেখানে ছোট ছোট চরিত্রেও কাজ করেছি। একটি মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করেছিলাম কারণ তখন আমি বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছিলাম। তখন আমার টাকার অভাব ছিলো, সে সময় আমি যা পেতাম তাতেই রাজি হতাম, যাতে অন্তত ১০ হাজার টাকা রোজগার করতে পারি। কারণ তখন ওটা আমার প্রয়োজন ছিলো।’ বিজয় আরও বলেন, ‘এখন আমি প্রতিষ্ঠিত, এখন আর টাকার পেছনে দৌড়াতে হয় না। এখনো টাকা প্রয়োজন, কারণ এটা আমার পেশা। তবে এখন টাকা দিলেও আমি এমন কিছু চরিত্রে অভিনয় করবো না, যেটা আমার পছন্দ নয়।’ সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস