ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা: খুলনার পাইকগাছায় সোলাদানা ইউনিয়নের সরদার আবু হোসেন কলেজ (চৌরাস্তা) হতে সোনাখালী খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় সাত কিমি. রাস্তাটির বেহাল দশা। চৌরাস্তা হতে সোনাখালী খোয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় সাত কিমি. রাস্তাটি এমনই বেহাল দশায় বছরের পর বছর আমুরকাটা, পশ্চিমকাইনমুখী, নুনিয়াপাড়া, দীঘা, দক্ষিণকাইনমুখী সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের সিমাহীন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগেই সংস্কারের কাজ করা না হলে ভরা বর্ষা মৌসুমে যেকোনো সময় রাস্তাটি ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়ে চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসীর।
স্থানীয় অ্যাড. শিবুপ্রসাদ সরকার জানান, প্রায় ৭ কিমি. রাস্তাটির এক কিমি. পীচকার্পেটিং, এক কিমি. ইটের হেরিংবন, প্রায় তিন কিমি. জরাজীর্ণ এবং ভাঙ্গাচোরা দীর্ঘদিনের পুরাতন ইটের সলিং। বাকী প্রায় দু’কিলোমিটার মাটির কাঁচা রাস্তা। রাস্তাটির দুই প্রান্তে পিচের কার্পেটিং-এর পাকা রাস্তা সংযুক্ত থাকলেও অভিভাবকহীন এই রাস্তাটির ভাগ্য বদলে নেই কারো কোন মাথাব্যাথা। ভাঙ্গা চোরা ও বড় বড় গর্তে ভরা এই রাস্তাটি যেন কয়েকটি গ্রামের মানুষের জন্য অভিশাপে পরিণত হয়েছে।
এ রাস্তায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক রাসেল, গোষ্ট, তরুন, রাজিব জানান, ইট সলিং ও মটির রাস্তায় আগাগোড়া রাস্তাটিতে মাঝে-মধ্যে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় সাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান, ইজিবাইক, নছিমন সহ বিভিন্ন মালবাহী গাড়ি প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
ভ্যানচালক ধৃতি, দিবাকর, নসিমন চালক আজুবর ও মোস্তাক জানান, বর্ষাকালে রাস্তাটিতে চলাচল আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠে, গাড়ী তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাই দুষ্কর।
এলাকাবাসীর ক্ষোভ, চারিদিকে এত রাস্তাঘাট তৈরি হচ্ছে, অথচ এই এলাকার সবচেয়ে জনগুরুত্বপুর্ণ এই রাস্তাটির দিকে কোন জন-প্রতিনিধির নজর নেই। চরম ভোগান্তি হতে রেহাই পেতে রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণের জন্য জন-প্রতিনিধি সহ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসি। সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম সরেজমিনে রাস্তাটির বেহাল দশা দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করেন। আগামী মিটিংয়ে রাস্তাটি যাতে দ্রুত সংস্কার করা হয় এ বিষয় আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাইকগাছা উপজেলা এসও মো: রমিত হোসেন মনি বলেন, বর্ষার পূর্বেই প্রায় সাড়ে সাত’শ মিটার রাস্তায় মাটির কাজ করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে সাত’শ মিটার রাস্তায় মাটির কাজে সংস্কারের সকল কার্যক্রম করে স্কেভেটর মেশিন পাঠানো হয়েছে।