বিদেশ : সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতি হতে শুরু করেছে। দুই দেশ জানিয়েছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস পুনরায় চালু করবে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত বছর আগে দুই দেশ একে অপরের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়। এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান দূতাবাস পুনরায় খোলার বিষয়ে কথা বলার সময় দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত দিয়েছেন। গত শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে সংবাদ সম্মেলনে দূতাবাস পুনরায় খোলার বিষয়ে আমির-আবদুল্লাহিয়ান কথা বলেন। তবে দূতাবাস পুনরায় খোলার নির্ধারিত সময় উল্লেখ করেননি তিনি। ২০১৬ সালে দুই দেশের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাত বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে, গত মাসের শুরুতে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দুই দেশের বৈঠকের পর ইরান ও সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার এবং দূতাবাস পুনরায় চালুর বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছায়। আমির-আবদুল্লাহিয়ান বলেন, ‘ঈদুল ফিতরে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার টেলিফোনে কথা হয়েছে। আমরা আগামী দিনে তেহরান ও রিয়াদে সৌদি আরব ও ইরানের দূতাবাস পুনরায় খোলার বিষয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছি।’ ২০১৫ সালে ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের হস্তক্ষেপের পর রিয়াদ সমর্থিত সরকার ইরান সমর্থিত হুতিদের হাতে চলে যায়। এরপর থেকে রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে হুতিরা। এরপর থেকে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়। দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বৃহত্তর সংঘাতের সৃষ্টি করেছে। আমির-আবদুল্লাহিয়ান লেবানন সফরকালে এসব বিষয়ে কথা বলেন। তিনি হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহসহ লেবাননের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ‘অদূর ভবিষ্যতে’ সিরিয়া সফর করবেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বৃহত্তর সংঘাতের সৃষ্টি করেছে। আমির-আবদুল্লাহিয়ান লেবানন সফরকালে এসব বিষয়ে কথা বলেন। তিনি হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহসহ লেবাননের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ‘অদূর ভবিষ্যতে’ সিরিয়া সফর করবেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। স্কুলবাস চলন্ত অবস্থায় মৃত্যু হয় ড্রাইভারের। কিন্তু ১৩ বছরের এক ছাত্রের দ্রুত সিদ্ধান্তে প্রাণে বাঁচে বাসটিতে থাকা তার ৬৬ সহপাঠীর। বাসটির স্টিয়ারিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিরাপদ সেটিকে থামাতে সমর্থ হয় সে। ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের। এ ঘটনার পর প্রশংসায় ভাসছে দিলন রিভস নামে ওই ছাত্র। বাসটির পাঁচ সিট পিছনে বসা রিভস ড্রাইভারের অসুস্থতার বিষয়টি খেয়াল করে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। ওয়ারেন এলাকার কার্টার মিডল স্কুলের ছাত্র রিভস ঘটনার পর সবার কাছে নায়ক বনে গেছে। ওয়ারেনের কাউন্সিলম্যান জনাথন লাফার্তি এক ফেসবুক পোস্টে রিভসকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, ‘আমরা তোমার নায়কোচিত কাজের জন্য গর্বিত।’ এক ভিডিওতে দেখা যায়, বাসটির ড্রাইভার তার কোম্পানির কর্মকর্তাদের কাছে ম্যাসেজ পাঠাচ্ছেন যে তিনি অসুস্থতা অনুভব করছেন। কার্টার মিডল স্কুলের সুপারিনটেনডেন্ট রবার্ট লিভারনইস বলেন, বুধবার ছাত্ররা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় ড্রাইভার মাথাব্যাথায় ভুগেন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ওই ঘটনার একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, ওই ড্রাইভার কর্মকর্তাদের রেডিও ম্যাসেজ পাঠাচ্ছেন যে তিনি অসুস্থতা অনুভব করছেন এবং তার বিশ্রাম দরকার। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং স্টিয়ারিং চাকার ওপর পড়ে যান। এতে বাসটি তার লেন থেকে আলাদা হয়ে পড়ে। এ ঘটনা দেখে বাসটিতে থাকা ছাত্ররা কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। স্কুলের সুপারিনটেনডেন্ট রবার্ট লিভারনইস বলেন, দিলন ড্রাইভারের অসুস্থতার বিষয়টি দেখে এবং সিট ছেড়ে সামনে এগিয়ে যায় বাসটি থামাতে। বাসটি থামিয়ে দিলন জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করতে বলে। তবে ড্রাইভারের অসুস্থতার কারণ জানা যায়নি। নারী ওই ড্রাইভারের এর আগে ড্রাইভিং অবস্থায় কোনো সমস্যার কথাও জানা যায়নি। সূত্র : বিবিসি