সাধারণ সম্পাদকের নিষেধাজ্ঞা, মুখ খুললেন কাজী সালাউদ্দিন

0
26

স্পোর্টস: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের রুমের সামনের নেমপ্লেটে শোভা পাচ্ছে না কারও নাম। কারণ আগের দিন রাতে আবু নাইম সোহাগকে ফিফা দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই ইস্যুতে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন কী বলেন, সেটা জানতে শনিবার সকাল থেকে বাফুফে ভবনে মিডিয়া কর্মীদের ভিড়। খুব বেশি কথা বলেননি একসময়ের দেশের ফুটবলের বড় তারকা। মাত্র সাড়ে তিন মিনিট থাকলেন মিডিয়ার সামনে। বাফুফেতেও সোহাগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে জানালেন সালাউদ্দিন, ‘একটা খারাপ সংবাদের কারণে আমরা সবাই একত্রীত হয়েছি। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। গত শুক্রবার আমিও জানতে পেরেছি এটা। কিছু ডকুমেন্ট পড়েছি, পুরোপুরি পড়তে পারিনি। নিষেধাজ্ঞা যখন দেখা হয়েছে, উনাকে (বাফুফেতেও) নিষিদ্ধ করা হয়ে গেছে। পরের জরুরি সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলাম। দুজন সহসভাপতি দেশের বাইরে আছেন, আজ রোববার পৌঁছাবেন। পরের পদক্ষেপ কি নেবো, পরশু মিটিং করে সবাইকে জানিয়ে দিবো।’ আপাতত ফিফার নিষেধাজ্ঞার চিঠিটাই অনুসরণ করছে বাফুফে। সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘ফিফা বলেছে নিষিদ্ধ রাখতে, সেটাই করা হয়েছে। ওখানেই আছি আমরা। আরও বাদ বাকি কী পদক্ষেপ নেবো, সেটার জন্য আরও দুইদিন অপেক্ষা করতে হবে। সোমবার ফিফা খুলবে। জেনারেল সেক্রেটারির সঙ্গে আলোচনার পর আমরা নিজেরা সভা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।’ তদন্তের জন্য ফেব্রুয়ারিতে সোহাগসহ চারজন বেতনভুক্ত কর্মকর্তা জুরিখে গিয়েছিলেন। সালাউদ্দিন তখনই এমন কিছুর ইঙ্গিত পেয়েছিলেন বলে জানান, ‘ওরা যখন জুরিখে গেছে, তখনই শুনেছি কিছু চলছে। নৈতিক কমিটি যখন কাজ করছে, তখন কিছু একটা করবে ওরা।’ রাতেই সোহাগের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন সালাউদ্দিন, ‘সোহাগের সঙ্গে রাতে কথা হয়েছে। তিনি মনে করছেন, তার ওপর অবিচার করা হয়েছে। আদালতে যাবেন।’ এরপর সোহাগ ইস্যুতে ৫১ পাতার চিঠি নিয়ে এক প্রশ্নে সালাউদ্দিনের জবাব, ‘ওরা কিন্তু আর্থিক বিষয় নিয়ে লেখেনি। আচরণবিধি ও নীতি এবং দায়ের কথা বলেছে। বোর্ড মিটিংয়ে কথা বলে জানাবো আমাদের।’ আর কোনো কথা বলতে চাননি সালাউদ্দিন, এমনকি সোহাগের নিষেধাজ্ঞা দেশের ফুটবলের জন্য লজ্জার কি না প্রশ্নে তিনি শুধু ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বলে তড়িঘড়ি করে উঠে চলে যান।