আবু-হানিফ,বাগেরহাট অফিসঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বনগ্রাম সেঞ্চুরী ইনস্টিটিউশনের ব্যবস্থাপনা কমিটি (এমসি) গঠনের অভিযোগ উঠেছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের জন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়দের জানানোর কথা থাকলেও জানানো হয়নি। ভারপ্রাাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিতা রানী দে নিজের পছন্দমত লোকদের কমিটিতে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি মনোনয়োন ফরম না ক্রয় করা স্বত্তেও অনীতা রানী দাস নামের এক নারীকে সদস্য করা হয়েছে। যার ফলে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গেল বছরের ২৮ ডিসেম্বর বনগ্রাম সেঞ্চুরী ইনস্টিটিউশনের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ৯টি পদে ৩ জানুয়ারি থেকে ৫ জানুয়ারির মধ্যে মনোনয়োন পত্র সংগ্রহ জমা দানের কথা ছিল। কিন্তু ওই তারিখের মধ্যে ৯টি পদে ৯জন প্রার্থী মনোনয়োন পত্র সংগ্রহ করেন। যার ফলে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়ে যায়। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এসব বিষয়কে সাজানো এবং পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন সাবেক সভাপতি নারায়ন বসু ।
তিনি বলেন, আমি এই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ছিলাম। কিন্তু আমাকেও জানানো হয়নি কমিটি গঠন করা হবে। গোপনে বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা তাদের নিজেদের মত লোককে কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। আমরা এই কমিটি বাতিল করে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করার দাবি জানাই।
আরেক সাবেক সভাপতি এ্যাড. জগৎ জীবন বসু বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিতা রানী দে তার পছন্দমত লোক দিয়ে কমিটি করেছেন। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাকদেরও জানানো হয়নি বলে জানান এই সাবেক সভাপতি।
কমিটির সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য অনীতা রানী দাস বলেন, আমি মনোনয়ন পত্র কিনি নাই, কোন ফরমেও স্বাক্ষর করিনি। কয়েকদিন পরে শুনি আমাকে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কিভাবে আমি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হলাম কিছুই বলতে পারি না।
এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আলতাফ হোসেন কাজী বলেন, বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হবে তা আমাকে জানানো হয়নি। শুধু আমাকে নয়, অনেক অভিভাবককেও জানানো হয়নি। সাজানো এ কমিটি বাতিল পূর্বক নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করার দাবি জানান তিনি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিতা রানী দে বলেন, আমরা নিয়ম মেনেই পূর্নাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেছি। আমরা কোন অনিয়ম করিনি।