স্পোর্টস: ফিঙ্ংি-বেটিং কেলেঙ্কারিতে তোলপাড় পড়েছে তুরস্কের ফুটবলে। তদন্তের অংশ হিসেবে শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবের ফুটবলার, ক্লাব প্রেসিডেন্ট ও ধারাভাষ্যকারসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৯ জনই ফুটবলার। ৪৬ জনের মধ্যে এরই মধ্যে ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
ইস্তাম্বুলের পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, গ্রেপ্তার ফুটবলারদের মধ্যে ২৭ জন নিজেদের দলের ম্যাচে বাজি ধরেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ফুটবলারদের একজন হলেন মেতেহান বালতাচি তিনি তুরস্কের চ্যাম্পিয়ন গালাতাসারাইয়ের খেলোয়াড়। চলতি মাসের শুরুতেই বেটিং কেলেঙ্কারিতে তিনি নয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।গত ১০ নভেম্বর ছয় রেফারিকে প্রি-ট্রায়াল ডিটেনশনে পাঠানো হয় এবং সুপার লিগ ক্লাব এয়ুপস্পোরের প্রেসিডেন্টকেও আটক করা হয়। এরপরই তোলপাড় শুরু হয় তুর্কি ফুটবলে। গ্রেপ্তার অন্য ২৬ ফুটবলারের নাম প্রসিকিউটররা প্রকাশ করেননি। তবে তারা জানিয়েছেন, ইস্তাম্বুলের আরেক বড় ক্লাব ফেনারবাচের মের্ত হাকান ইয়ানদাস অন্যের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ম্যাচে বাজি ধরেছেন।
তুর্কি চ্যানেল এ হাবের জানিয়েছে, আদানা দেমিরস্পোরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরাত সানচাকও গ্রেপ্তারি তালিকায় আছেন। আরও কয়েকজন খেলোয়াড়ের নামও প্রকাশ করেছে তারা। যদিও কোনো ক্লাবের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করতে পারেনি তারা।
এ পর্যন্ত তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ) ১ হাজারের বেশি খেলোয়াড়কে বেটিং-ফিঙ্ংি কেলেঙ্কারির কারণে নিষিদ্ধ করেছে। এর মধ্যে ২৫ জন সুপার লিগের, এবং তাদের শাস্তির মেয়াদ ৪৫ দিন থেকে ১২ মাস।
বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে মাত্র একজন শাস্তি পেয়েছেন। তিনি কোন্যাসপোরের সেনেগালিজ উইঙ্গার আলাসান নডাও। ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি।