বিদেশ : দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিবেশী থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গত বুধবার সীমান্তে গুলিবর্ষণে একজন কম্বোডিয়ান নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কয়েকদিন আগে টহল দেওয়ার সময় স্থলমাইন বিস্ফোরণে থাই সৈন্যের এক পা হারানোর দুই দিন পর এই গুলিবর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। গত জুলাইয়ের শেষের দিকে পাঁচ দিনের সশস্ত্র সংঘাতে কয়েক ডজন সেনা এবং বেসামরিক লোক নিহত হয়। এরপর মালয়েশিয়ায় মার্কিন-মধ্যস্ততায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও স্থলমাইন বিস্ফোরণে সেনা আহত হওয়ার পর যুদ্ধবিরতি আংশিকভাবে স্থগিতের ঘোষণা দেয় থাইল্যান্ড। বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, গুলিবর্ষণের পর থাইল্যান্ডের সঙ্গে বিতর্কিত সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার শত শত মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে কম্বোডিয়া। গুলিতে ডাই নাই নামে একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে এবং আরও তিন জন আহত হয়েছেন। মিয়ানচে প্রদেশের উপ-গভর্নর লি সোভান্নারিথ জানিয়েছেন, সীমান্তের প্রে চান গ্রামের প্রায় ২৫০ পরিবারকে সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি বৌদ্ধ মন্দিরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এপি’র প্রতিবেদন বলছে, এই সপ্তাহের শুরুতে স্থলমাইন বিস্ফোরণের পর যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। থাইল্যান্ড যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে নতুন মাইন স্থাপনের অভিযোগ করেছে। কম্বোডিয়া এটি অস্বীকার করেছে। থাইল্যান্ড বলেছে, তারা চুক্তি বাস্তবায়ন ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ স্থগিত রাখবে। তারা কম্বোডিয়াকে ক্ষমা চাওয়ার, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রোধে কার্যকর করার দাবিও করেছে। থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার শত্রুতার ইতিহাস রয়েছে শতাব্দী ধরে, যখন সাম্রাজ্যের সঙ্গে সাম্রাজ্যের যুদ্ধ চলছিল। কম্বোডিয়া ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে থাকাকালে ১৯০৭ সালে আঁকা একটি মানচিত্র থেকে এই সীমান্ত এসেছে। থাইল্যান্ড যুক্তি দিয়েছে, এটি সীমান্ত ভুল। ১৯৬২ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত কম্বোডিয়াকে ১০০০ বছরের পুরনো প্রিয়াহ ভিহিয়ার মন্দিরসহ একটি এলাকার ওপর সার্বভৌমত্ব প্রদান করে। এটি এখনো থাইল্যান্ডের জন্য ‘বিরক্তের’ বিষয়।