৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত নিয়োগ প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের আবেদন পুনর্বিবেচনার বিষয়ে আগামী বৃহস্পতিবার বৈঠক ডেকেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. উজ্জ্বল হোসেনের স্বাক্ষরিত পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে সরকারের দুইটি সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্তসহ প্রতিনিধি পাঠাতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রার্থীদের বাদ দেয়ার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব মতামত প্রতিফলিত হয় না। কিন্তু সাধারণ মানুষের ধারণা, প্রার্থীদের বাদ দেয়া ও অন্তর্ভুক্ত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভূমিকা রাখে, যা আদৌ সত্য নয়। তাই সরকারের যে সংস্থা প্রার্থীদের বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন দিয়েছে, তাদেরকে তথ্য প্রমাণসহ উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে জনপ্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি যে, তাদের আবেদন বৃহস্পতিবারই বিবেচনা করা হবে বা সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। তবে যে আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলোর বিষয়ে আলোচনা হবে ওই দিন। করণীয় ঠিক করা হবে, সঙ্গে অন্য বিষয়ে আলোচনাও হবে। সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো সভা হবে না। অনেক গণমাধ্যমে এসেছে বৃহস্পতিবারই সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে, বিষয়টি আসলে ঠিক নয়।
উল্লেখ্য, ৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে গত ৩০ ডিসেম্বর। এতে বিভিন্ন ক্যাডারের সব মিলিয়ে বাদ পড়েন ২৬৭ জন। এদের মধ্যে ৪০ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নেননি। এসব প্রার্থীর বাদ পড়ার বিষয়ে সম্প্রতি ব্যাখ্যা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, দুইটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ দুই সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গেই বৈঠক করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে গত ৩০ ডিসেম্বর। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েন ১৬৮ প্রার্থী। এর আগে ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েন মোট ২৬৭ জন। এসব প্রার্থীর বাদ পড়ার বিষয়ে সম্প্রতি ব্যাখ্যা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
https://www.kaabait.com