বিদেশ : হংকংয়ের একটি অ্যাপার্টমেন্টে কাঁচের বোতলে রাখা দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গত শুক্রবার খালি ওই অ্যাপার্টমেন্টটি পরিষ্কার করতে যান এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তখন লিভিং রুমে কাছের দুটি বোতলে রাখা দুটি ছেলে শিশুর মরদেহ দেখতে পান তিনি। হংকংয়ের স¤প্রচারমাধ্যম আরটিএইচকের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এই খবর জানিয়েছে। আরটিএইচকে জানিয়েছে, মৃতদেহগুলো ‘তরলে পদার্থে ভিজিয়ে বোতলে রাখা হয়েছিল।’ এ ঘটনায় এক পুরুষ ও এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। তাদেরকে শিশুদ্বয়ের বাবা-মা বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিউ টেরিটরি উত্তর বিভাগের প্রধান পরিদর্শক আউ ইয়েং টাক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ৩০ সেন্টিমিটার (১ ফুট) লম্বা বোতলগুলোতে শিশুদের মরদেহ রাখা ছিল। তবে মৃতদেহগুলোতে আঘাতের কোনও চিহ্ন ছিল না। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে শিশুদের বয়স নির্ণয় করা এবং তারা জন্মের সময় মারা গেছে কিনা সেসব তথ্য জানা যাবে। অবৈধভাবে মৃতদেহ নিষ্পত্তি করার সন্দেহে ২৪ বছর বয়সী এক পুরুষ এবং ২২ বছর বয়সী এক নারীকে আটক করা হয়েছে। আউ ইয়েং বলেছেন, আটককৃতরা ওই অ্যাপার্টমেন্টেই থাকতেন। তাদেরকে দম্পতি হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। ভাড়াটিয়ারা চলে যাওয়ার পর বাড়িওয়ালা শুক্রবার অ্যাপার্টমেন্টটিতে পরিচ্ছন্নতাকারীকে পাঠিয়েছিলেন। এরপরই এই ঘটনাটি সামনে আসে।
ছবি : ০৮
দিল্লিতে জুমার নামাজে হামলা, পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
এফএনএস বিদেশ : দিল্লির ইন্দারলোকে রাস্তার পাশে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর চড়াও হয়েছে পুলিশ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরকম একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, নামাজরত মুসল্লিদেরকে পুলিশ কর্মকর্তা প্রহার করছেন। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। খবর ইন্ডিয়া টুডে। গত শুক্রবার ইন্দারলোক এলাকায় একটি মসজিদে নামাজ আদায় করতে জড়ো হন বিপুল সংখ্যক মুসল্লি। কিন্তু মসজিদের ভিতরে ও বাইরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কিছু মুসল্লি রাস্তার ওপর নামাজে দাঁড়িয়ে যান। অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা। তখনও নামাজ শেষ হয়নি। এ অবস্থায় মুসল্লিদের প্রহার করতে থাকেন তারা। সে সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘেরাও করে ফেলে জনতা। ইন্ডিয়া টুডে বলছে, তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে। এদিকে ঘটনাটির ভিডিও শেয়ার করে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের এমপি ইমরান প্রতাপগারহি বলেন, নামাজ আদায়রত মুসলিমকে প্রহার করা দিল্লি পুলিশের এই সদস্য সম্ভবত মানবতার মৌলিক নীতি জানেন না। এই পুলিশ সদস্যের মনে এই ঘৃণা কোথা থেকে এলো? যথাযথ ধারার অধীনে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য দিল্লি পুলিশকে অনুরোধ করি। একই সঙ্গে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার আহŸান জানাই। এ ব্যাপারে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) এম কে মীনা বলেন, এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেয়া হবে।