স্পোর্টস: প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে লাল কার্ড দেখলেন দানিয়েল মুনিয়োস। এগিয়ে থাকলেও ম্যাচের বাকি অর্ধেক একজন কম নিয়ে খেলার চিন্তায় পড়ে গেলেন নেস্তর লরেন্সো। তবে দমে না গিয়ে আক্রমণাত্মক পথ বেছে নিলেন কলম্বিয়া কোচ। তাতে সফল হয়ে উঠে গেলেন ফাইনালে। কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় দশজন নিয়ে খেলেও উরুগুয়েকে আটকে রেখেছে কলম্বিয়া। ৩৯তম মিনিটে হেফারসন লের্মার করা গোলের লিড ধরে রেখে প্রায় ২৩ বছর পর তারা পেয়েছে ফাইনালের টিকেট। ম্যাচ শেষে দ্বিতীয়ার্ধে দলের পরিকল্পনা জানান আর্জেন্টিনার হয়ে ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা লরেন্সো। তবে কোনো অবস্থায়ই যে লাল কার্ড কাম্য ছিল না, সেটি স্পষ্ট করেই বলেন কলম্বিয়া কোচ। “মূল বিষয় হলো, আমরা কখনও একজন কমে যেতে চাই না। মাঠে ১০ জন নিয়ে একই পারফরম্যান্স ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব।” “যেসব দল প্রতিপক্ষের ওপর দাপট দেখায়, একজন কমে যাওয়ার পর তারা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়। আমরা তাই পরিস্থিতি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করেছি।” ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে টানা ২৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকা দলটি ম্যাচের শুরুতে খেলে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সেটি বদলে ফেলতে হয় তাদের। ডিফেন্ডার মুনিয়োস লাল কার্ড দেখায় মিডফিল্ড থেকে হন আরিয়াসকে তুলে আরেক ডিফেন্ডার সান্তিয়াগো আরিয়াসকে নামান লরেন্সো। এ ছাড়া আরও দুই মিডফিল্ডারকে তুলে তিনি নামান নতুন দুই মিডফিল্ডার। ফলে রক্ষণভাগে চারজন ঠিক রেখে মাঝমাঠে কমে যায় একজন। তখন নতুনভাবে ৪-৩-২ ফর্মেশনে দলকে খেলান কলম্বিয়া কোচ। এই কাঠামোয় প্রথমার্ধের মতোই উরুগুয়ের ওপর চাপ ধরে রাখে কলম্বিয়া। কিছু সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি উরুগুয়ে। শেষ পর্যন্ত কোনো গোল হজম না করে ফাইনালের টিকেট নিয়েই মাঠ ছাড়ে কলম্বিয়া। তাই নিজের কৌশল কাজে লাগার তৃপ্তিই প্রকাশ করেন লরেন্সো। “আমাদের সামনে দুটি পথ খোলা ছিল। (রক্ষণাত্মক হয়ে) ৫-৪, ৫-৩-১ ফর্মেশনে খেলা অথবা ৪-৩-২ ধরে রেখে সুযোগ তৈরি করা। আমরা সেটি (৪-৩-২) বেছে নেই এবং ঈশ্বরও আমাদের সহায় হয়।” “তাদের (উরুগুয়ে) কিছু সুযোগ জালের ভেতরে যায়নি। আমরাও সুযোগ হাতছাড়া করেছি। তবে শেষ পর্যন্ত (জিততে) পেরেছি।” মানুয়েল উগার্তেকে কনুই দিয়ে আঘাত করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড ও লাল কার্ড দেখা মুনিয়োসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চান না কলম্বিয়া কোচ। “দানিয়েল খুবই হতাশ। কারণ মাঠে সে সিংহের মতো। কিন্তু আরও একবার আবেগের বশবর্তী হয়ে গেছে। আমি তাকে আলিঙ্গন করে বলেছি, তাকে ছাড়া আমরা এখানে থাকতে পারতাম না। তাই তার মাথা উঁচু রাখা উচিত।” এছাড়া মার্সেলো বিয়েলসার মতো অভিজ্ঞ ও বর্ষীয়ান কোচের বিপক্ষে জেতায় বাড়তি আনন্দ লরেন্সোর। “আমি মনে করি, বিয়েলসাকে হারানোর জন্য আপনাকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। তিনি কোচদের জন্য উদাহরণ এবং ব্যক্তি হিসেবে প্রশংসনীয়। এবার ছিল আমাদের জেতার পালা ছিল। এই তো!”
https://www.kaabait.com