আইটি: স্মার্টফোনের হ্যাকিংয়ের ঘটনা অহরহ ঘটছে। তাই সাবধানতা জরুরি। কিছু নিয়ম মানলে ফোন হ্যাকারদের কবল থেকে সুরক্ষিত রাখা যায়। ফোন সুরক্ষিত রাখতে জানুন এই চারটি কৌশল। স্মার্টফোনের সঙ্গে অ্যাপগুলোর গভীর সংযোগ রয়েছে। ফোনে যত দ্রুত র ্যাম ও স্টোরেজ বাড়ছে, তত দ্রুত অ্যাপ চালু হচ্ছে। ইউজাররা প্রতিটি ছোট এবং বড় কাজের জন্য নতুন অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করছে। ভিডিও এডিটিং এর জন্য অ্যাপস পাওয়া যায়, ছবি তোলার জন্য আলাদা, গেম খেলার জন্য আলাদা। তবে যেকোনো অ্যাপ ডাউনলোডের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। অন্যথায় আপনার সামান্যতম ভুলের সুযোগ নিতে পারে হ্যাকাররা। আপনি যদি আপনার ফোনকে হ্যাক হওয়া থেকে রক্ষা করতে চান তবে আপনাকে অ্যাপস সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। অজানা সোর্স থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করবেন না। অফিশিয়াল নয় এমন কোনো অ্যাপে বিশ্বাস করবেন না বা ডাউনলোড করবেন না। প্লে স্টোর থেকে কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার সময় যদি নিশ্চিত না হন তাহলে সেটা নিয়ে একটু রিসার্চ করুন। অ্যাপটির রিভিউ পড়লে ভালো হয়। এরপর যদি আপনার মনে হয় অ্যাপটি নিরাপদ নয় তাহলে ডাউনলোড করবেন না।
অ্যাপসগুলো আপডেট রাখুন
ফোনের সব অ্যাপ আপডেট রাখা জরুরি। প্রোগ্রামিং বাগের সুযোগ নিতে পারে হ্যাকাররা, যা একটি জনপ্রিয় অ্যাপেও থাকতে পারে। অ্যাপটির লেটেস্ট ভার্সনে এসব বাগ সংশোধন করা থাকে। তাই আপনি যে অ্যাপই ব্যবহার করছেন না কেন, তার লেটেস্ট ভার্সন আপনার ফোনে ইন্সটল করে রাখাই ভালো।
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন
পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে ফোনটি কানেক্ট না করাই ভালো। এমন ক্ষেত্রে ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) ব্যবহার ঠিকই থাকে। ভিপিএন আপনার সংযোগকে এনক্রিপশনের মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখে এবং আপনার ডেটা পাবলিক হওয়ার অনুমতি দেয় না।
ডিভাইসে পাসওয়ার্ড সেভ করবেন না
যদি প্রতিটি অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড মনে রাখা আপনার পক্ষে কঠিন হয় তবে আপনি এর জন্য একটি নিরাপদ পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনার ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড সেভ করা এড়িয়ে চলুন অন্যথায় আপনার পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়ে যেতে পারে।
https://www.kaabait.com