স্পোর্টস: ২০২২ সালে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। সাফজয়ী সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার। সাফ জয়ের পর পরই ইনজুরিতে পড়েন নারী ফুটবলার। ইনজুরির কারণে প্রায় দেড় বছর মাঠের বাইরে রয়েছেন কৃষ্ণা। সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) দুষছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন কৃষ্ণা। সেখানে তিনি লেখেন, ‘২০২২ এ সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে ইনজুরিতে পড়ি। প্রায়ই দেড় বছর হয়ে গেছে। পা আগে থেকে ভালো কিন্তু এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়ে উঠতে পারিনি। প্র্যাকটিস করলেই ব্যথা হয়। বাফুফে ফিজিও দিয়ে আমার ট্রিটমেন্ট চলছে। সবাই জানে ইনজুরি টা অনেক রেয়ার। ব্যথা নিয়েই প্র্যাকটিস করতেছি। দেশে অনেক ডাক্তার দেখিয়েছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি।’ দেশের বাইরে চিকিৎসার কথা জানালেও বাফুফে তা গুরুত্ব দেয়নি উল্লেখ করে কৃষ্ণা আরও লেখেন, ‘২০২৩ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফিজিও দেবাশীষ চৌধুরী স্যারকে দেখিয়েছিলাম। উনি প্রায় আমাকে অনেকদিন দেখেন, যখন ব্যথা কমছিলনা। স্যার বলেছিলেন অস্ট্রেলিয়া, ইন্ডিয়া গিয়ে ট্রিটমেন্ট করাতে। কিন্তু যখন আমি বাফুফে জানাই, ওঁরা বলেন আরও কিছুদিন দেশে ডাক্তার দেখাতে। আমি অনেকদিন তাদেরকে ইন্ডিয়াতে যাওয়ার কথা বলছি। কিন্তু ওঁরা আমার কথায় কোন গুরুত্ব দেয়নি। আজও পর্যন্ত ব্যথা নিয়ে প্র্যাকটিস করছি।’ ব্যথা নিয়েই এখনো অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে এই নারী ফুটবলার লেখেন, ‘২০১৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৪ দলে সুযোগ পাই এবং ২০১৪ সালে সিনিয়র জাতীয় দলে সুযোগ পাই, সেখান থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কখনো কোনো দলের বাইরে থাকতে হয়নি। প্রায় ১০ বছর একটানা জাতীয় দলের হয়ে খেলেছি। টুকটাক ইনজুরিতে পড়েছি। কিন্তু হঠাৎ করে এত বড় ইনজুরিতে পড়বো কখনো ভাবিনি। অনেকদিন রেস্টে থাকার পর আর ভালো লাগছিল না এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিলাম। তাই ব্যথা নিয়ে প্রাকটিস চালিয়ে যাচ্ছি।’ ফুটবলার বা কোচ কেউ চিকিৎসার কথা বলেননি জানিয়ে কৃষ্ণা আরও লেখেন, ‘কষ্ট একটাই কখনো কোন টিমমেট, প্লেয়ার বা কোচ কাউকে বলতে দেখলাম না কৃষ্ণার ইনজুরির তাড়াতাড়ি ট্রিটমেন্ট করানো হোক। কারো কোন মাথা ব্যথাই নেই। ১০ বছরের পরিশ্রম এক নিমিষে শেষ। অনেক প্লেয়ারকে দেখেছি এভাবে হারিয়ে যেতে। মনে হয় সেই দিনটা আর বেশি দিন নেই কৃষ্ণার জন্য।’
https://www.kaabait.com