বিনোদন: যেই মঞ্চে মাইক্রোফোন হাতে বিপুল উচ্ছ¡াস নিয়ে দর্শকের সঙ্গে কথা বলবেন ভেবেছিলেন, সেখানেই জয়া আহসানকে শোনাতে হলো শোকগাঁথা! কারণ যে ছবি ঘিরে গত বুধবারের সন্ধ্যা সাজিয়েছিলেন তারা, সেই ‘পেয়ারার সুবাস’র অভিনেতা আহমেদ রুবেল মারা গেছেন। তাও প্রিমিয়ার শুরুর আগ মুহূর্তে, ভেন্যুর নিচে পার্কিংয়ে! কিন্তু বিনোদন জগতে একটি কথার প্রচলন রয়েছে, ‘শো মাস্ট গো অন’। তা-ই হলো নুরুল আলম আতিক নির্মিত ছবিটির ক্ষেত্রেও। যথানিয়মে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রিমিয়ার শো। আর সেই প্রদর্শনীর শুরুতেই সহকর্মীকে নিয়ে কিছু কথা বলেন শোকস্তব্ধ জয়া আহসান। কান্না জড়ানো কণ্ঠে জয়া বললেন, ‘আমরা শো বাতিল করছি না; আমাদের নির্মাতার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আর আমার মনে হয় রুবেল ভাইও সেটাই চাইছেন, সম্ভবত তিনি এখানেই আছেন! কারণ তার মনটা এখানেই পড়ে আছে। তিনিও চাইবেন যে, ছবিটি সবাই দেখুক। কাজের মাধ্যমেই তো বেঁচে থাকা। আর এভাবেই তাকে স্মরণ করতে চাই। রুবেল ভাই আছেন আমাদের এখানে, নিশ্চয়ই আমাদের সঙ্গে ছবিটি দেখবেন।’ কথা প্রসঙ্গে নিজের পিতৃবিয়োগের স্মৃতিও টেনে আনেন জয়া আহসান। তার ভাষ্য, ‘এটা শিল্পীদের জীবনের একটি ভয়াবহ অংশ। আমার বাবা যে দিন মারা যান, সে দিন কলকাতায় আমার প্রথম বাংলা ছবির শুটিং করছিলাম; শেষ দুটো দৃশ্য বাকি ছিল। আমি হাউমাউ করে কাঁদছি আর নির্মাতাকে বলছি, কী করবো? শুটিং শেষ করবো নাকি চলে যাবো? এই দোলাচলেই থাকি আমরা শিল্পীরা। আমরা হয়তো মানুষ নই।’ সবশেষে ‘পেয়ারার সুবাস’র প্রদর্শনীকে আহমেদ রুবেলের প্রতি উৎসর্গ করে সবাইকে ছবিটি দেখার আহŸান জানান অভিনেত্রী। এর কিছুক্ষণ পর প্রেক্ষাগৃহ ত্যাগ করে আহমেদ রুবেলকে দেখার জন্য হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন জয়া। গত বুধবার সন্ধ্যায় ছবির প্রিমিয়ারে অংশ নিতে গাড়িতে করে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে আসেন আহমেদ রুবেল। গাড়ি থেকে নামার সময়ই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর তাকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা অভিনেতাকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকার বৃহস্পতিবার বাদ আসর গাজীপুরে তার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমায় জয়া আহসান ও আহমেদ রুবেল ছাড়াও আছেন তারিক আনাম খান, দিহান, সুষমা সরকার, নূর আলম মিঠু, জয়িতা মহলানবিশ প্রমুখ। আজ শুক্রবার ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহে।
https://www.kaabait.com