• শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ০২:২৬

শিশুর হজমের সমস্যা; কারণ এবং প্রতিকার

প্রতিনিধি: / ৬৩ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

স্বাস্থ্য: অধিকাংশ মায়েরা সন্তানের ঘুম, বদহজমসহ নানাবিধ সমস্যা নিয়ে চিন্তিত থাকেন। শিশুরা যখন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভোগে, তারা তা প্রকাশ করতে পারে না। তাই সারাক্ষণ কান্না করে। শিশু কান্না করলে, না ঘুমালে তার শরীরে মালিশ করতে পারেন। মালিশ করার নানাবিধ উপকারিতা আছে। শিশুর শরীরে মালিশ করলে তারা বেশ আরাম পায়। এ ছাড়া মা ও সন্তানের বন্ধন দৃঢ় হয়।
শিশুর শরীরে মালিশ করলে যেসব উপকার হয়:
ঘুম ভালো হয়
শিশু ঘুমোতে না চাইলে, মাত্রাতিরিক্ত কান্না করলে তার শরীরে মালিশ করুন। মায়ের হাতের মালিশ পেলে শিশু বেশ আরাম পায়। মালিশের কারণে পেশি শিথিল হয়। স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণও কমে। ফলে স্নায়ুতন্ত্র শান্ত হয়। স্নায়ুতন্ত্র শান্ত হলে শিশু তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে তার ঘুম ভালো হয়।
হজমের সমস্যা দূর
শিশুদের বদহজমের সমস্যা লেগেই থাকে। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যও ভোগে বেশি। নিয়মিত পেট পরিষ্কার না হলে তাদের বেশ অস্বস্তিবোধ হয়। কিন্তু তারা অস্বস্তির কথা মুখ ফুটে বলতে পারে না। তখন বাবা-মায়েদেরই লক্ষণ বুঝে ব্যবস্থা নিতে হয়। গবেষণা বলছে, শিশুর পেটে সঠিক নিয়মে মালিশ করলে হজমের সমস্যা দূর হয়। গ্যাসের সমস্যাও কমে। আবার কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও রেহাই মেলে।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ে
শিশুর শরীরে নিয়মিত মালিশ করলে পুরো শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। পেশিতে পেশিতে রক্ত পৌঁছে যায়। রক্ত থেকেই দেহের কলা কোষ অক্সিজেন ও পুষ্টি সংগ্রহ করে। এর ফলে সন্তানের বিকাশও দ্রæত হয়।
সর্দি-কাশিতে আরাম
বর্ষাকালে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে। তাই এ ঋতুতে শিশুরাও ঘন ঘন জ¦র, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তবে সন্তানকে রোজ মালিশ করলে ছোট বড় সংক্রমণ দূরে থাকবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মালিশ করলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়াও সর্দি-কাশি হলে শিশুদের নাক বন্ধ হয়ে যায়। বুকে কফ জমে। এই সময় বুকে মালিশ করলে সন্তান কিছুটা আরাম পায়।
হাড়ের জোর বাড়ে
শিশুদের শরীরে মালিশ করলে হাড় ও পেশির জোর বাড়ে। তাই সন্তানের হাড় মজবুত করতে নিয়মিত মালিশ করুন। গবেষণা বলছে, মালিশের কারণে শিশুর ওজনও বাড়ে। কেননা মালিশ করলে গ্রোথ হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। হজমও ভালো হয়। এতে দেহে পুষ্টির শোষণও ভালো হয়। ফলে সন্তানের বিকাশ ঠিকভাবে হয়


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com