• মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৩

শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে

প্রতিনিধি: / ৪১ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪

শনিবারও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রতিবাদে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালনের আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি। আগামী ১১ মে সকাল ১০টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত সারা দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ কর্মসূচি পালন করার আহবান জানানো হয়। গত সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত ৪ মে রাত ৯টায় জুম অ্যাপে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির এ সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয় জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন জানান, সভায় আগামী ১১ মে সকাল ১০টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা সারা দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতির কর্মসূচি পালন করার আহŸান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লব। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষক নেতারা জানান, সরকারের এমন একতরফা সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকরা সংক্ষুব্ধ। শিখন ঘাটতি কি শুধু মাধ্যমিক পর্যায়ে হয়েছে— শিক্ষক নেতারা এমন একটি প্রশ্ন রাখেন সরকারের কাছে। সভায় প্রতিবাদ হিসেবে এক ঘণ্টার ‘কর্মবিরতি’ পালনের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি আহŸান জানানো হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে প্রতি শনিবার পুরো কর্মদিবস ‘কর্মবিরতি’র মতো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন বলেও নেতারা বিবৃতিতে উল্লেখ করেন। শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে শিক্ষক নেতারা বলেন, কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী সৃষ্ট নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে। আগেও হয়েছে। সে কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। মন্ত্রণালয়ের এহেন সিদ্ধান্তে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত বৈ কিছু নয়। কারণ নির্ধারিত ও সাপ্তাহিক ছুটিতে শিক্ষার্থীরা পাঠ সংশ্লিষ্ট ‘বাড়ির কাজ’ সম্পন্ন করতে পারেন। অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চিকিৎসা নেওয়া, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো, আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্রামসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। এক দিনের ছুটিতে যাবতীয় কাজ ও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এতে করে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হবে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com