স্পোর্টস: বিপরীত মেরুতে থাকা দুই দলের লড়াই। কাগজে কলমে কিংবা পয়েন্ট টেবিলে দুই দলের মধ্যে যে পার্থক্য, সেটাই যেন ফুটে উঠল মাঠের খেলায়। একেবারেই পাত্তা পেল না গ্রানাদা। আগেই অবনমন নিশ্চিত হয়ে যাওয়া দলটিকে উড়িয়ে দিল রেয়াল মাদ্রিদ। নতুন চ্যাম্পিয়নের বেশে লা লিগায় প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে শনিবার প্রতিপক্ষের মাঠে ৪-০ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। ফ্রান গার্সিয়া চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেওয়ার পর প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আর্দা গিলের। দ্বিতীয়ার্ধে ১০ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে ম্যাচ থেকে গ্রানাদাকে একরকম ছিটকে দেন ব্রাহিম দিয়াস। গেল সপ্তাহে লিগ শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায়, গ্রানাদার বিপক্ষে শুরুর একাদশে ১০টি পরিবর্তন আনেন রেয়াল কোচ। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে খেলা একাদশ থেকে কেবল ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগারকে রাখেন আনচেলত্তি। স্বাভাবিকভাবেই শুরুতে এর প্রভাব পড়ে রেয়ালের খেলায়। ভিনিসিউস জুনিয়র, জুড বেলিংহ্যামদের অনুপস্থিতি দলটির আক্রমণে টের পাওয়া যাচ্ছিল বেশ। রক্ষণও ছিল কিছুটা অগোছাল। প্রথম মিনিটেই গার্সিয়া করেন মারাত্মক ভুল। তবে সেটার সুযোগ নিতে পারেনি গ্রানাদা। মরিয়া চেষ্টায় বিপদ থেকে রক্ষা করেন গার্সিয়াই। প্রতি-আক্রমণে মাঝেমাঝে ভীতি ছড়াচ্ছিল গ্রানাদা। তবে গোলপোস্টে থিবো কোর্তোয়া ছিলেন তৎপর। স্বাগতিকদের দুটি চেষ্টা ঠেকিয়ে দেন রেয়াল গোলরক্ষক। খুব ভালো সুযোগ তৈরি করতে ভুগছিল রেয়াল। তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল তারা। সেটারই ফসল ৩৮তম মিনিটের গোল। বাইলাইন থেকে দিয়াসের ক্রসে ডামি করেন লুকা মদ্রিচ। সঙ্গে লেগে থাকা একজনের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে জাল খুঁজে নেন গার্সিয়া। রেয়ালের সিনিয়র দলের হয়ে এটাই তার প্রথম গোল। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে অনেকটা এভাবেই ক্রস করেন গার্সিয়া। ডি-বক্সে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে জালে পাঠান গিলের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একক প্রচেষ্টার গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করেন দিয়াস। ৪৮তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে গ্রানাদার তিন খেলোয়াড়কে এড়িয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। ১০ মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়ান দিয়াস। অনায়াসে গোলের জন্য চেষ্টা করতে পারতেন লুকা মদ্রিচ। সেটা না করে অভিজ্ঞ ক্রোয়াট মিডফিল্ডার কাটব্যাক করেন দিয়াসকে। প্রথম স্পর্শে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রায় উল্টো দিকে ঘুরে বাঁ পায়ের শটে জালে পাঠান তিনি। লা লিগার চলতি আসরে এটি মরক্কোর ফরোয়ার্ডের অষ্টম গোল। ৮৩তম মিনিটে জালের দেখা প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন হোসেলু। দারুণ ¯øাইডে রেয়াল স্ট্রাইকারের শট ঠেকিয়ে দেন কামিল পিয়াতোভস্কি। বাকি সময়ে গোলের নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই। ৩৫ ম্যাচে ২৮ জয় ও ছয় ড্রয়ে ৯০ পয়েন্ট রেয়ালের। ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে জিরোনা। ৩৪ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে বার্সেলোনা। ৩৫ ম্যাচে ¯্রফে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে আছে গ্রানাদা।
https://www.kaabait.com