বিদেশ : ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছর হবে আগামীকাল। তার আগেরদিন, গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার ৫ শতাধিক লক্ষ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি ওয়ালি আদেয়েমো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা বলেছেন। আদেয়েমো বলেছেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাশিয়ার সামরিক শিল্প কমপ্লেক্স ও তৃতীয় দেশের কোম্পানিগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বিশেষ করে যে দেশ বা কোম্পানি রাশিয়ার চাহিদা মতো পণ্যের সুবিধা দিয়ে থাকে। ওয়াশিংটন যুদ্ধ এবং বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহি করতে চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি। আদেয়েমো বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার ওপর শত শত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, শুধু যুক্তরাষ্ট্র একাই পদক্ষেপগুলো নিচ্ছে না।’ ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে রাশিয়ার ওপর বহু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবারের প্যাকেজটি হবে নিষেধাজ্ঞার সর্বশেষ প্যাকেজ। মার্কিন কংগ্রেস কিয়েভের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা সহায়তা অনুমোদন করবে কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকা সত্তে¡ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার ওপর চাপ বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এর মধ্যেই নতুন করে নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য আগে যে তহবিল অনুমোদন করেছিলেন তা শেষের পথে। রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে অতিরিক্ত তহবিলের অনুরোধও স্থগিত রয়েছে। আদেয়েমো বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ রাশিয়াকে চাপে ফেলবে। এর ফলে প্রয়োজনীয় পণ্যের অভাবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।’ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, মস্কোর আক্রমণ ঠেকাতে নিষেধাজ্ঞাগুলো যথেষ্ট নয়। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রাক্তন কর্মকর্তা পিটার হ্যারেল বলেছেন, ‘ইউক্রেনে অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা দেওয়ার জন্য কংগ্রেস যা করে তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিষেধাজ্ঞার থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
https://www.kaabait.com