প্রতিদান
জান তো আমি কবি
দুঃখ যদি দাও আমায়
দেহ মন আর রঙিন জামায়
এঁকে দেব দুঃখের ছবি
জান তো আমি কবি
সুখ যদি দাও ভালোবেসে
রংধনু থেকে রং নিয়ে এসে
এঁকে দেব সুখের জলচ্ছবি
ভ্রমণ
আমি তো কবি
দেশ ভ্রমণ আমার স্বভাব
আমার ভাই রবি
জমিদারি থেকেও অভাব
শব্দের মোহর নিয়ে
পোড়াবাজারে রাত-দিন
আমি করিনি বিয়ে
অথচ ঘরে দুই সতিন
ল²ী সরস্বতী
ঘরে ডেকে আনে শমন
কষ্ট দিবা রাতি
এখন দরকার দেশ ভ্রমণ
বৈপরীত্য
আজ বসন্ত প্রথম প্রেমের স্পর্শে কোন যুবক
ছুঁয়েছে নীলাকাশ
আজই কোন বৃদ্ধ সূর্যাস্ত দেখে
খোঁজে তার সর্বশেষ বাতাস
কোথাও তখনও পাগলা হাওয়া খেলা করে
বেতস পাতা আর কিশোরীকে নিয়ে
বড় বিচিত্র এই পৃথিবী
একদিকে শবযাত্রা অন্যদিকে মানুষের বিয়ে
বিস্ফোরণ
বিপ্লবের পাঠশালায়
আমি যে এক ছাত্র
অন্ধকারকে আলো বানাই
দিনকে বানাই রাত্র
রাতে ডাকি স্বপ্নদের
দিনে ভাঙ্গি গড়ি
আদর্শের উস্কানিতে
জলন্ত আগ্নেয়গিরি
অংশীদার
দুঃখ যদি নিতে পার আধা
গড়তে পারি প্রেম
তবে তুমি হতে পার রাধা
আমি হব শ্যাম
ফুল পাখি নিয়ে মানুষ
সুখের ঘর সাঁজায়
তবু অজান্তে দুঃখক্রুশ
বিঁধে থাকে হিয়ায়
হিয়ার কষ্ট বুঝ যদি
পাবে হৃদয়ের মাপ
জীবন একটি ছোট নদী
চল দেই তাতে ঝাঁপ
কবির দৃষ্টি
বাঘ যখন ধরে ফেলে হরিণটাকে
আমি বলি যাক না সে বেঁচে
বুড়ো বাঘটা শিকার না পেয়ে হাঁপায়
বলি কৌশলে আবার হোক চেষ্টা
বাঘটা এবার ধরে আনল হরিণ ছানা
আমি কষ্ট পেলাম আরো বেশি
বুড়ো বাঘটা এমনিতে রাতকানা
আবার কয়েকদিনের উপাসি
হরিণ প্রেমিক হয়ে আমি
বাঘকেও ভালোবাসি ।
বহু জনমের গান
এক দেহ অনেকবার ভিজে
আর শুকায়
এক দেহ নিয়ে আমি
বহু জনমের গান গাই
অনেকদূর পথ অতিক্রম করে
আমার দুটি পা
দু’আঙ্গুলে লিখে রাখি
সর্বাঙ্গের কবিতা
একটা বুক একটা হৃদয়
এত কেন হাহাকার
এত প্রাসাদ মেঘ ছুঁই ছুঁই
দু’দিনের সংসার
এক দেহ অনেকবার ভিজে
আর শুকায়
এক দেহ নিয়ে আমি
বহু জনমের গান গাই
নারী ও মুদ্রা ঃ ভাগ্য প্রহসন
সোডিয়াম আলো মাড়িয়ে কৌমুদিনীরা ঘরে ফিরে যায়
জীবনকে বর্ণময় করতে পুরুষেরাও ছুটে
ভাংতি মুদ্রা ফিরে অসংখ্য উত্তেজনা সহে
গৃহি মুদ্রা বন্দী ভবগুরে মুদ্রা হয়ত অন্নের খোঁজে হাঁটছে
মুদ্রা কখনো ঘুমায় না
তবু অসংখ্যজন তার বুকে আঁকে স্বপ্ন
সবাই ঘুমায় নগর ঝিমায়
তবু জেগে থাকে অসুস্থ টোকাইয়ের গোঙানী
আর অসংখ্যজনের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
ঘুমে ঢুলুঢুলু ট্রাক হেলপার পার হয় শাহবাগ
ভাঙ্গাচোড়া রিক্সা আর ততোধিক ভাঙাচোড়া
মানুষদের দিকে তাকিয়ে থাকে নজরুলের পোট্রেট
কবি জগদ্দল পাথরে চাপা পরেছে
আমার লক্ষ সহোদর সহোদরা
তবু আমরা বলি ‘চির উন্নত মম শির’
এ যেন দুর্বোধ্য গান ক্লান্ত অবুঝ পাখির
যুবতী ও অনাগতদের
এক. যুবতী রূপে আচ্ছন্ন তাকাই না
জমা থাক বাসর রাতের জন্য
গভীর দৃষ্টিতে সে সময়
মেটাবো হাজার রাতের বায়না
আমি ফুলেল রাখি অনাগত প্রজন্মের
মাতৃত্বের অহংকার
আরো মধুময় হোক মানুষের সংসার
দুই. পড়ছ যখন বলে রাখা ভাল বিদায়
দেখা হবে বন্ধু
কত সময়ের ব্যবধান
পার হয়ে যাব প্রেমের বিশাল সিন্ধু
গেয়ে জীবনের জয়গান
কবিতা ঠিকই কমিয়ে দেবে
তোমার আমার ব্যবধান
https://www.kaabait.com