মেহেদী হাসান লিপন, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)সংবাদদাতা : প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে তছনছ হয়েছে দুটি বিদ্যালয়। ভেঙ্গে গেছে আসবাবপত্র। উড়িয়ে নিয়ে গেছে টিনের চালা। পুনঃসংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস চালু করা সম্ভব নয়। এর একটি হলো, ৩০৩ নং উত্তর বাদুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।অপরটি পৌর সদরের আব্দুল আজিজ মেমোরিয়াল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
সরজমিনে দেখা গেছে, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত উত্তর বাদুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়। বিদ্যালয়টি সকল সরকারি সুবিধা ভোগ করলেও অবকাঠামো রয়ে গেছে টিনসেট আর কাঁচা ফ্লোর। গেল ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে প্রাক প্রাথমিকের সাজানো কক্ষ,শিক্ষকদের কক্ষ সহ শিক্ষার্থীদের কক্ষ তছনছ হয়ে গেছে। ভেঙে গেছে , ভেসে গেছে অনেক আসবাবপত্র। বিদ্যালয়টি ক্লাশ পরিচালনা করার কোন পরিবেশ অবশিষ্ট নেই।যার কারনে কোন শিক্ষার্থী ক্লাশে আসেনা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, বই নষ্ট হয়ে গেছে। পানি উত্তোলনের মটার ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। পানিয় জলের ব্যবস্থা নেই। প্রধান শিক্ষক ইউসুব আলী জানান,পুনঃনির্মাণ কিংবা পুনঃসংস্কার ছাড়া ক্লাশ করা সম্ভব নয়।
অপরদিকে উপজেলা পড়ে পৌর সদরে অবস্থিত আব্দুল আজিজ মেমোরিয়াল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। ২০০৭ সালের সিডরে বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। সেই থেকে বিদ্যালয়টি নানা টানা পোড়নে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। বিদ্যালয়ের টিন সেটটি ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয় পড়েছে। শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষায় টিন সেট ঘরে ক্নাস করা সম্ভব হয়না। যার কারনে বিপাকে পড়তে হয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষাথীদের । বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। গেল রেমালের আঘাতে আবারো বিধ্বস্ত হয়েছে বিদ্যালয়টি। টিন উড়ে গেছে। আসবাবপত্র ভেঙে গেছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, পাঠ্যবই সহ বিভিন্ন জিনিস ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। সহকারি প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন হেলাল জানান, বিদ্যালয়টি জরুরীভিত্তিতে পুনঃসংস্কার প্রয়োজন। অন্যথায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা এসএম সাইফুল আলম জানান, ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার সকল ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলোর তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
https://www.kaabait.com